পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 সারাণব প্রকাশক, যমকোটির ন্যায় ভয়ানক, শক্তিত্রয় সম্পন্ন ভগবান পদবাচ্য হয়েন। সেই হরিই লোকাশ্ৰয়, উর্ণনাভীর স্তায় জগৎ প্রকট করেন । কারণ রূপে এক কাৰ্য্যরূপে অনেক হয়েন। এক মৃৎপিণ্ড হইতে অনেক ঘটাদি জলপাত্র হয় কিন্তু ঘটের নাম কেবলমাত্র, তাহার উপাদান কারণ মৃত্তিকাই সত্য হয়। অতএব মহক্তত্ব হইতে শরীরস্থ সপ্তধাতু পৰ্য্যন্ত সকলি অবিদ্যাসম্ভব, জ্ঞান মায়াংশ, শ্বস্বরূপমুভূতি চিদংশ হয়। এই কাৰ্য্যকারণাত্মক জগৎকে ভূবন কোষ'* বলিয়া শাস্ত্র ব্যাখ্যা করেন যথা,–“ব্ৰহ্ম হইতে স্থাবর পর্য্যম্ভ চতুর্দশ ভূবন । ५ वव्रे १ क्रयं ১৩ গায়ত্র্যাদি শক্তি ২ মায়া ৮ সনকাদিঋষি ১৪ স্বরা স্বর, নর ৩ ঈশ্বর ৯ মরিচ্যাদি * চতুৰ্ব্বিধ জীব । ৪ গুণত্রয় ১• সায়স্তুবাদি মনু, - ৫ বিষ্ণু ১১ কশ্যপাদি প্রজাপতি, ७ वक्रां ১২ আদিত্যাদি গ্রহ, এই চতুর্দশ আবরণে আবৃত হইয়াও ব্রহ্ম এক অদ্বিতীয় নিত্য স্বতন্ত্র নিরঞ্জন আছেন । বাহ ও অভ্যস্তর সর্বত্রেই বৰ্ত্তমান স্বরূপ । এক অঙ্ক ( ১ ) যেমন গুণ প্রাপ্তে বৃদ্ধি এবং গুণাভাবে স্বস্বরূপে একই থাকে তদ্বৎ । শক্তিপ্রধান জগৎ, শক্তিহিন পুরুষ ভোক্ত নহেন। স্বশক্ত্যাভিমানী ব্ৰহ্ম ঈশ্বরাদি জীবাকারে কর্তা ভোক্ত হয়েন। কর্তৃত্ব ভোক্তত্ব অভিমানশূন্য উদাসীন ব্ৰহ্ম চৈতন্যে ( অ মাত্রে ) ভেদাভেদ সমতা হইয়া যে অদ্বৈত ব্ৰহ্মভাব উদয় হয়, তাহাকেই নিৰ্ব্বাণমুক্তি বা কৈবল্যভাব বলাযায়, আর প্রবৃত্তি পথের পথিক, পাপ পুণ্য ভেদজ্ঞান নিষ্ঠা পরায়ণ জীবেশ্বর, উপশুি উপাসক, ভাবভক্তির অরতম্যে সালোক্য, সামীপ্য, সারূপ্য মুক্তি যাহা উক্ত হইয়াছে তাহাও মায়াবধি সত্য, তাহা হইতে পুণ্যক্ষয়ে পুনৰ্ব্বার জন্ম গ্রহণ (শরীর ধারণ ) হইয়া থাকে তাহ শাস্ত্রত ও যুক্তিত সপ্রমাণ হইয়াছে। এই চতুর্দশ ভূবনান্তর্গত সাৰ্দ্ধমাত্র ত্রয়োদশ কলাত্মিক পরা অপর বিদ্যার পরোপার উপনিষদ প্রতিপাদ্য চতুর্দশস্থানীয় ব্রহ্মধাম প্রাপ্তি করিলে আর ভেদাভেদ থাকে না, তথায় অদ্বৈত ব্যাপকসত্তার চিত্তের নাশ হইয়া একত্ব উদয় হয় এই ভাৰ। এই চতুর্দশভুবননিবাসী আকাশ লক্ষণ কাৰ্য্যাশ্রিত-চৈতন্য চিদাকাশ-জীব, হয়েন । শিব ও জীব, জীব ও জীব, সকলি

  • কোব,-অৰিয়ণ, গৃহ ।