পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ն Հ সারাণব । ১১ স্ব র্য্যলোক, ১৪ যমলোক, ১৭ বায়ুলোক, ১২ ইন্দ্রলোক, ১৫ নৈঋতিলোক, ১৮ কুবেরলোক, ১৩ অগ্নিলোক, ১৬ বরুণলোক, ১৯ ঈশানলোক, তদনন্তর মেরুসম্বন্ধী লোককে স্বৰ্গলোক বলা যায়। তদনন্তর ভুবর্লোক, অস্তরক্ষলোক এবং যেখানে স্বৰ্য্যপ্রকাশের অবকাশ আছে তাহাকে স্বর্লোকও বলা যায়। তন্নিয়ে অতলাদি সগু পাতাল শেষনাগ পর্য্যন্ত নানাপ্রকার দেব মনুষ্য তির্যাগাদি সমস্ত বিশ্ব আত্ম সত্তামাত্রে উল্লাস প্রাপ্ত হইতেছে। “অতৎ’ শব্দে গমনকে বুঝায়, শ্রুতি বলেন ইহঁারি সত্তায় বায়ু গমনশীল প্রাণ হয়েন, গতি বিশিষ্ট চৈতন্য পদার্থই আত্মবাচী । এতাবতা পরমাত্মাই প্রথমাছুর, কালকৰ্ম্ম দ্বিতীয়াছুর, স্বভাবে জীবাত্মা তৃতীয়াঙ্কর হয়েন । বীজ পরমাত্মা (কুটস্থ ) মায়ারূঢ় হইলে কৰ্ত্ত। ভোক্তারূপে বিস্তার প্রাপ্ত রথির ন্যায় স্বয়ং অচল হইয়াও গমনাগমনকারী বলিয়া আপনাকে মান্ত করেন। কুটস্থ, মূলপ্রকৃতিস্থ ব্রহ্ম স্বভাবরূপ, মায়া কৰ্ম্মরূপিণী, উৎপত্তি স্থিতি লয়াত্মক স্বয়ং কাল তৈজস জীবরূপে পরিণামী হয়েন * ! একারণ শাস্ত্রে বাসুদেবাদি চারি পাদ ব্ৰহ্ম নিরূপণ করিয়াছেন। বাসুদেব বীজ, শঙ্কর্ষণ কাল, প্রত্যুম্ন কৰ্ম্ম, অনিরুদ্ধ স্বভাব ; কৰ্ম্ম ও স্বভাব জীবের অনুগামী হয়েন । ইহার প্রথম পরিণাম বৈকুণ্ঠনাথ বিষ্ণু বৈকুণ্ঠই প্রথম বীটপ যাহাকে লক্ষীনারায়ণ নিবাস বলা যায়। শিবশক্তি নিবাস কৈলাসকে দ্বিতীয় বিটপ। ব্ৰহ্মা গায়ন্ত্ৰী নিবাস সত্যলোক তৃতীয় বিটপ হয়, সকল বিদ্যাও সকল স্ত্রীমাত্র সেই এক মূলপ্রকৃতিতে অভেদ । তাহার পর তপ, জন, মহ, দেব, ভূ, নক্ষত্র, চন্দ্র, স্বৰ্য্য, ইন্দ্র, অগ্নি, যম, নৈঋতি, বরুণ, বায়ু, কুবের, ঈশাণনামক লোক, এবং অন্তরীক্ষ ও স্বলোক নামক স্বাবিংশতি বিটপ নিয়ে সপ্ত পাতাল বিবর মধ্যে শেষনাগ পর্য্যন্ত দেব মনুষ্য তিৰ্য্যগাদি পূর্ণ বিশ্ব সেই আত্মবীজ সত্তাতে সমূলে উল্লাসিত হইতেছে। যাজ্ঞবল্ক্য বলিয়াছেন, যে ‘পুত্র কামনার পুত্রপ্রিয় নয়, কিন্তু আত্ম কামনায় পুত্র প্রিয় হয় ইত্যাদি,”—অতএব আত্মাই প্রিয়তর বস্তু তাহাতে সন্দেহ নাই। “সৰ্ব্বং বিষ্ণুময়ং জগৎ" সৰ্ব্বং খবিদং ব্ৰহ্ম ইত্যাদি শ্রুতি সম্বাদ আছে, অতএব পরিণামী উপাধি পরিত্যাগে সকল বিষয়ে সৰ্ব্বত্রে কেবল আত্মাই প্রাপ্তব্য এমত বিচারে অয়ং শব্দার্থে এই প্রত্যক্ষ পরিপূর্ণ আত্মাই বিশ্ববীজ, বিশ্বকার বা বিশ্ব, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। আত্মাই জগৎ, কেন না পরাপর শব্দে শ্রুতিতে পূৰ্ণব্ৰহ্ম প্রতিপাদন করেন । যিনি ইহলোকে ও পরলোকে, পরোক্ষে অপরোক্ষে অখণ্ড ও নিত্য বর্তমান তিনিই ব্যাপক, অতএব ‘বৃহৎ গুণে ব্ৰহ্ম । এই আত্মাকে “অন্থ বৃহৎ কৃশ স্থল বলিয়া’ যে

  • দেহ ও প্রকৃতিবিশিষ্ট অধ্যাত স্বতাৰ ( কৰ্ম্মাধ্যক্ষ কাল ) জীব হয়েন ।