○ど সারার্ণব । অর্থাৎ হে হংসি ! রথনাভি সংলগ্ন অবা, চক্রদণ্ডের দ্যায় শরীরস্থ নাড়ীজtল মধ্যে যিনি বিচরণ পূৰ্ব্বক বহুরূপে প্রকাশ প্রাপ্ত হইতেছেন, ও-কার ধ্যান দ্বারা সেই পরমাত্মাকে সবিশেষরূপে অবধারণ করিয়া এই ঘোর সংসারান্ধকার সাগর হইতে নিস্তার পাওয়া যায় । সেই এই অদ্যতন’ বৰ্ত্তমান স্বৰ্য্যপ্রকাশস্বরূপ পুরুষ জাগ্রতসাক্ষী, গতকল্য স্বপ্নসাক্ষী, আগতকল্য স্বযুপ্তি সাক্ষী, এবং পরশ্ব তুরীয়, চতুর্থ কূটসাক্ষী হয়েন ইহাও সত্য। তিনিই দেহীমাত্রের দেহে নাড়ী জলমধ্যে বহুপ্রকার হর্ষ, ক্রোধ, শোক, মোহাদিরূপে প্রকটত হইয়া অন্তঃকরণাকারে দৃশ্য। সেই এই আত্মাই ওঁকার ধ্যান দ্বারা ধোয় হম্বেন । অবিদ্যাজনিত অন্ধকার নিবৃত্তি হইয়া সংসার সাগরের পরোপার সত্য দ্বীপে গমনার্থ-স্বস্বরূপ প্রাপ্ত্যর্থ আয়ং শব্দার্থ নির্ণয় দ্বারা ‘সোহং হংসঃ’ এই ত্রিমাত্রাভূত “অহং আমিই হই হে হংসিকে ! আ মাত্র, যাহার মাত্রা ( পরিমাণ) নাই, তিনি কেবল অব্যবহার্য্য আত্মচিৎ যেমন ‘হ’-মাত্রারহিত অকার। অতএব তিনি তুরীয় চতুর্থপাদ ‘কুটে".* পঞ্চমপাদ পূর্ণ শিবরূপ হয়েন । এই প্রকারে যিনি ওঁকার প্রতিপাদ্য ব্ৰহ্মকে জানেন তিনি সেই ব্রহ্মেতেই প্রবিষ্ট হইয়া ব্ৰহ্ম হয়েন, অর্থাৎ শরবৎ তন্ময় হয়েন, তন্ময় হয়েন ! হে হংসি ! আমার যে বন্ধন ও মুক্তি সে কেবল তোমার (মায়ার) গুণ, স্বরূপতঃ ব্ৰহ্ম চৈতন্তের (আমার ) বন্ধ মোক্ষ কিছুই সম্ভব নয়। যেমন পদ্মপত্রে জলস্পর্শ করিতে পারে না সেই রূপ আমাতে ( আত্মবেত্তা শুদ্ধ পুরূষে ) তোমার ( মায়ার ) বিকার পাপ পুণ্য, মুখ দুঃখ, হর্ষ শোক স্পর্শ করিতে পারে না, আমি আত্মশুদ্ধসত্তায় পাপপুণ্য হর্ষবিষাদাকার তোমার অন্তর বাহ্যে থাকিয়াও পৃথক আছি এবং থাকি। ঈশ্বরাকারে পৃথক আছি এবং জীবাকারে পৃথক থাকি। অতএব ব্যবসায়াত্মিক বুদ্ধিরূপ তুমি আর সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ হিংস” আমি ইহা নিশ্চয় কর হে প্রাণবল্লভে ! যথা শুকগীতা,— “একং ভাবং দ্বিভাবাত্তং দ্বিভাবমেকভাবকং। আত্ম ভিন্নং হি ত্বং মাত্ৰং আত্মাহং সৰ্ব্বরূপিনং” ॥ হে দেবি ! একভাবই দ্বিভাবাত্ত এবং দ্বিভাবই একভাবাপন্ন হইয়া থাকে । এই বাক্যের অভিপ্রায় মত দুই বস্তুই নিত্যভাব অর্থাৎ প্রাপ্য। কি সেই দুই বস্তু যাহা এক হইয়া দুই থাকে, এবং দুই হইয়া এক থাকে। তদৰ্থে কহিতেছেন যে ( আত্মা ও অনাত্মা ) চিৎ ও জড়। চিদাত্মা “অহং’ হইতে ভিন্ন যে "জড়’ নামরূপে অনেক, সে তুমি অৰ্দ্ধমাত্র হল, আর আত্মস্বরূপ “চেতন সৰ্ব্বই অহং পদে
- कूछे ;-अशांज्ञ, भांब्रl , उक्र ।
