পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। とq স্বররূপ এক অভিন্ন ‘অ’ কার “আমি’ হই । তুমি বহুগুণে পঞ্চাশদ্বর্ণাকারে এক, এবং আমি অ কারাকারে এক হইয়াও তোমার অনেকক্সপে অনেক দৃপ্ত হই ও দেখি, কখন বিন্দু ও বিসর্গ যুক্ত কথন বা দীর্ঘ হই। উপসংহার । চতুৰ্ব্বেদের সার যে মহাবাকাচতুষ্টয় তাহার পৃথক পৃথক ব্যাখ্যা করিয়া এক্ষণে তাহার সমাস করিতেছেন। প্রজ্ঞানমানন্দং ব্রহ্ম, অহং ব্ৰহ্মান্মি, তত্ত্বমসি, আয়মাত্মাব্ৰহ্ম এই চতুর্ধ বাণীর ভিন্ন ভিন্ন অর্থে এক অদ্বৈতস্বরূপে অনেকত্ব দোষ ঘটতে পারে । অতএব তাবত অঙ্গের যথাযোগ্য সামঞ্জস্য পূৰ্ব্বক এক সমষ্টি অপরোক্ষজ্ঞানে পূর্ণ চৈতন্ত মাত্রের নির্দেশ করাই সদগুরুর কার্য্য ; তাহাই করিতেছেন। সমস্ত বেদের সারসংগ্ৰহ এই,— “তৎ প্রজ্ঞানানন্দোহহং ত্বং পদেনায়মাত্মা ব্ৰহ্মঃ” অর্থাৎ সেই প্রজ্ঞানানন্দ (অহং ত্বং ) আমি তুমি পদসিদ্ধ "এই ( প্রত্যক্ষ আত্মচৈতন্যই ) ব্ৰহ্মঃ । এই সিদ্ধান্তমতে কোন প্রকার আপত্তি হইতে পারে না। কি বেদান্তবাদী, কি পৌরাণিক কি তান্ত্রিক, কি ব্রাহ্ম, সকলেই এ সিদ্ধান্তে একবাক্য হইবেন । সেই আত্মাকে এই বলিয়া ‘আপনি তাই’ বুঝিলে আর বিরোধ থাকিবে না। সেই বলাতে পৌরাণিক ও ব্রাহ্ম, বাহ্যে দ্বৈতবাদী কর্তা, এই বলাতে আপনাতে ( অস্তরে) অদ্বৈত বেদাস্তবাদী ( সাক্ষী ) “অকৰ্ত্তা’ হইতে পরিবেন। যাহাকে সেষ্ট বলিয়া আমি ‘জীব' পদে দ্বৈতভাব ধারণ করি ও উপাসক হই, তাহাকে ‘এই' বলিয়া স্বহৃদয়ে আত্মপ্রত্যয়ভূত চিদহং পদে আমিই আত্মা পরম ও জীব শব্দ হইতে অভিন্ন হইতে পারি, ইহাই বেদান্তমত ; ইহাকেই অদ্বৈত মত’ বলাযায় । উপাসক, উপাস্তের ভাব প্রাপ্ত হইলেই মগ্ন হয়, তখন আৰ তিনি ভাব থাকে না। যাবৎ একভাবাপন্ন না হওয়া যায় তাবৎ বিরোধ থাকে । কিন্তু যখন তিনিই আমি নিশ্চয় হয়, তখন সকল বিরোধ ভঞ্জন হইয়। আপনিই অদ্বৈত ভাব উপস্থিত হইয়া থাকে। আত্ম সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রবিরোধ যুক্তি বিরোধ ও লোকবিরোধ, কিছুই থাকে না। তখন সকলশাস্ত্র, সকল যুক্তি ও সকল ব্যবহার সেই আত্মবোধ কুটে" নিৰ্ম্মিত বলিয়া প্রত্যক্ষ হইতে থাকে। আমি ভিন্ন কিছুই নাই, আমাতেই সকল বিরাজ