পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৭৯

সারীর্ণব । سراري মান উপলব্ধি হইতে থাকে। এই বলিলে আপনাতে, আত্ম বলিলে আপনাকে, এবং ব্রহ্ম বলিলে সৰ্ব্বত্রে সেই চৈতন্ত তিনিই লন্ধ হরেন । ধিনি শাস্ত্রে তিনি বলিয়া উক্ত হয়েন, ‘এই শব্দে তিনিই আমি । সেই সৰ্ব্বব্যাপী নিত্য আরাধ্য আত্মচৈতন্য যেমন এই ঘটে সেইরূপ ঘটান্তরে, সমভাবে সৰ্ব্বত্রে আছেন ; এরূপ স্বরূপ বোধে বিরোধ কোথায় ? অতএব সেই এই আত্মা’ প্রজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মস্বরূপ হয়েন । যাহা অামি । অদ্বৈতবাদীরা যাহাকে আত্মঘটে আরাধন করেন, দ্বৈতবাদীরা তাছাকে আত্ম ভিন্ন ঘটান্তরে, ব্ৰহ্মাওঘটে বা খণ্ডবিগ্রহে আরাধনা করেন। কিন্তু তিনি জ্ঞানীর নিকটে এবং অজ্ঞানীর দূরে এপ্রকার উক্তি আছে । আত্মা হইতে নিকট বস্তু আর কিছুই নাই, সুতরাং আত্মাই উপাস্ত দেবতা । তিনি পদবাচ্য ব্রহ্মই এই আত্মা । যিনি অস্তরস্থ আমি যিনি নয়নস্থ “আমি”, তিনিই প্রবোধ স্বরূপ ‘চিৎ'। ব্রাহ্ম্যমতে ও বেদান্তমতে এই ভেদ । বেদাস্তবাদীরা ‘সেই প্রজ্ঞানানন্দ স্বরূপাত্মা আমি বলিয়া তাহা হইতে অভিন্ন হয়েন, আর ব্রাহ্ম্যধৰ্ম্মিরা পরোক্ষ, অরূপ, অন্তর্যামী, সৰ্ব্বব্যাপী, মহান সেই তিনি বলিয়া দ্বৈতভাবে আপনাকে তাহা হইতে ভিন্ন ভাবেন। অদ্বৈতমতের সহিত পৌরাণিকের যে সম্পর্ক, ব্রাক্ষেরও সেই সম্পর্ক, তাহাতে কোন বৈলক্ষণ্য নাই । কিন্তু স্বামীজীর মতে সে বিরোধ ভাব নাই। তিনি “সেই আমি এই আত্মচিৎ’ বলিয়া সৰ্ব্বত্রে আপনি আপনার উপাসক হইতে নির্দেশ করিয়া সকল বিরোধ ভঞ্জন করিতেছেন । তিনি কহিতেছেন আমি পদে যাহাকে নিকটে প্রাপ্ত হওয়া যায়, তুমি ও তিনি পদে র্তাহাকে “দূর লক্ষ্য হয় মাত্র, প্রাপ্ত হওয়া যায় না’। অতএব তুমি তিনি পদভেদ মায়াৰিকার অজ্ঞান জন্ত দ্বৈতভেদ করে, এক বস্তুকে দুই বা অনেক বোধ করায়। পরস্তু আমি পদ তদ্বিপরীত । ইহাতে আত্মপ্রত্যক্ষ জ্ঞানে সেই’ নামরূপের তিরোধান ও এই সেই বা সেই এই’ ‘ভাবের উদয় হয়, যাছাকে সমদর্শন বলে । যে আত্মচিং আমাতে সেই আত্মচিৎ তোমাতে ও তাহাতে ইত্যাকার ‘আত্মবৎসৰ্ব্বভুতেষু ভাব হইলে আর মত ভেদ থাকে না । ‘তুমি, তিনি, সেই এই পদত্রয়ে যে ভিন্নতা তাহ আমিই করি, আমি না থাকিলে তাহ কে জানিত বা বলিত । অতএৰ ‘এই পদলক্ষ্য অত্যন্ত সান্নিধ্য যে "আমি"তাহাই মুখ্য, আমিই সকলের সাক্ষী আমিই সকলের অন্তর্যামী ও প্রকাশক হই! আমার সত্তায় তোমার’ ও ‘তাহার' প্রকাশ গ্রহণ হইতেছে, স্বতরাং আমা ভিন্ন তাহ’ সম্ভব হয় না । এতাবত এই পদসিদ্ধ আত্মাই সকল পদে সমান ; তিনিই ‘ইনি’ নামে আরাধা ও উপান্ত ইহাতে সংশয় নাই । ইহঁারি উপাসনায় মূল প্রকৃতি ত্রিগুণাত্মিক মাঙ্গা নিয়ত নিযুক্ত আছেন। ভূত, তন্মাত্র,