পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। ఆన ইন্দ্রিয়, দেবতা, ঋষি, ছন্দ, মন্ত্র, বর্ণ, দেহ, অন্ন, কালকৰ্ম্ম স্বভাবাদি দ্বিধা ত্রিধা, বহুধা হইয়া চাতুৰ্ব্বিধ বাণীরূপে সেই মায়া ‘এই সেই আত্মার সেবা করিতেছেন । র্তাহা হইতে, সেই উপাস্ত দেব হইতে, চক্তের ভাবানুযায়ী সদসৎ পদভেদে স্থখ দুঃখ, স্বর্গ নরক ভেদমূলক উপাসনায় ভেদ ভাব হইতেছে, কেন না সেই প্রকৃতি স্বয়ং ‘দ্বিধা হয়েন। অনাদি সান্ত প্রকৃতি পরমাত্মা জীবাত্মা ভেদে দ্বৈতাদ্বৈত পদ্ধতি মূলক যোগ ভোগ ফল রচনা করতঃ "ফলভাগিনী’ হইয়াছেন । ফলে, আতা ক্ষতিলাভ বর্জিত হইয়াও স্বপ্রকৃতিগুণে ক্ষতিলাভ বিশিষ্ট হয়েন, নচেৎ ফলদাতা ও ফলভোক্ত হইতে পারেন না । অতএব উপাসনা পদ্ধতি ও মিথ্যা নহে, পদ্ধতি মাত্রই বাশ্বিলাস, একারণ স্বামীজী কহেন যে যাবৎ আত্মবোধ না হয় তাবৎ সেই বাগেদবীর আরাধনাই জীবের কর্তব্য। বিদ্যাদেবীর সাক্ষাৎকারলাভার্থ গুরু আরাধনার বিধিও অমূলক নহে। যে বিদ্যা আত্মলাভের সহায়, সেই বিদ্যা গুরু উপসনা দ্বারা প্রাপ্তি হয়। অথাতে ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা, “শাস্ত্রযোনিত্বাৎ, ইত্যাদি বেদান্তস্বত্রে এবং শ্রুতিতে “মাচাৰ্য্য দেবোভব’ বলিয়া যাহা উক্ত হইয়াছে, তাহা কেবল সেই ব্রহ্মবিদ্যা সরস্বতী দেবীর আরাধনার নিমিত্ত, আত্মবোধ হইলে আর কাহারও উপাসনা করিতে হয় না ; কারণ তদপেক্ষ পরম-লাভ" আর কিছুই নাই। বিদ্যা দ্বারা প্রকৃতি শুদ্ধি হন, প্রকৃতি শুদ্ধি দ্বারা তৃপ্তি (সন্তোষ ), তৃপ্তি হইলে আনন্দ ; আনন্দস্বরূপই আত্মা “আমি’ হই । হে হংসি !—আমার এ অবস্থায় কোন উপাসনাই নাই, কেবল স্বেচ্ছা-বিহার আর জগতের হিতার্থ শরীর ধারণ কাৰ্য্যথাকে । ধৰ্ম্মের রক্ষা, সাধুর পরিত্রাণ, অধৰ্ম্মের নাশ ও অসাধুর দমনার্থ আমার যে শরীর ধারণ (তোমার পূজা গ্রহণ ) তাহা তুমি অবধারণ কর। নচেৎ তুমি যে কায়মনোবাক্যে আমার আরাধনা কর তাহা নিস্ফল হয় ! আত্মসমপণ দ্বারা ভক্তির পরাকাষ্ঠ তুমিই দর্শন করিয়াছ, একারণ আমি সদামুক্ত হইয়াও তোমার প্রেমভক্তি বন্ধনে আবদ্ধ,—জীবাকারে আনন্দিত আছি। হে হংসি ! আত্মবেত্তা স্বয়ং কিছু না করিয়াও সকল করেন, কেন না তিনি সৰ্ব্বত্রে সকল ঘটে আপনাকে কর্তা এবং অকৰ্ত্ত উভয় রূপ দর্শন করেন ;–তোমার ভাবে দ্বৈতাদ্বৈত উভয় মান্ত করেন বলিয়া সকলের প্রিয় ও সৰ্ব্বপূজ্য হয়েন। ইতি হংসবাকসারীর্ণবীভাষা পরা পশুন্তী মধ্যম বৈখরী . বাণী ব্যাখ্যার সহিত সমাপ্ত হইল। ও ।