পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিগমার্থ সারসংগ্রহ । 彝9 গুণমূৰ্ত্তিন্ত্ৰয়ং ভাতি পরস্পর বিলক্ষণম্। সত্ত্বাদি লক্ষণে যস্মিন স এবাহং নিয়ংশকঃ ॥ অর্থাৎ নানাকুস্তে যেমন আকাশ নানা দেখায়, সেইরূপ নানা দেহ ও অবস্থাতে এক এক্ট আত্মাকেও অনেক দেখা যায় । শিব জীব নামমাত্র, বস্তুতঃ এক যে জানে, সেই আত্মজ্ঞ অন্ত কেহ নয়। গুণভেদে এক আত্মার তিনরূপ দেখায়, তন্মধ্যে শুদ্ধ সত্বাত্মক শ্বে রূপ তাহাই “আমি এক অখণ্ড। মাত্মতত্ত্বজ্ঞানীর এই আত্মাতেই সকল নিষ্ঠ পৰ্য্যাপ্ত হয়, যথা অষ্টাবক্র সংহিতা । “অলং ত্রিবর্গ কথয়া যোগস্ত কথয়াপালম্। অলং বিজ্ঞান কথয়া বিশ্রান্তস্ত মমাত্মনি’ । অর্থাং-ধৰ্ম্মার্থ কামরূপ ফলত্রয়ের কথা, যোগাভ্যাস বা তদালোচনা, জ্ঞানকথা, এ সকলি আত্মতত্ত্ববেত্তার পক্ষে নিষ্ফল অথবা বৃথা হয়, কারণ তিনি সে সকলের উপর যে স্বরূপভূত মুক্তি তাহ স্বহৃদয়েই { আপনি আপনাতে ) প্রাপ্ত হইয়া সত্ত্বই ও স্থির হইয়াছেন। - "আত্মমন্ত্র প্রণবের সাধক কি প্রকারে ব্রহ্মভাব প্রাপ্ত হয়েন, (জীবন্মুক্ত হরেন ) ভাহা মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রে উক্ত হইয়াছে, যথা— সৰ্ব্বং ব্রহ্মময়ং দেবি ভাবয়েদ ব্রহ্মসাধকঃ ন চাস্ত প্রত্যবায়োহস্তি নাঙ্গবৈগুণ্য মেবচ । মহামনোঃ সাধনে তু ব্যঙ্গং সাঙ্গায়তে ধ্রুবম্ ॥ অর্থাৎ-হে দেবি ! ব্রহ্মবীজ ও কার যাপক ব্রহ্মসাধক সকলি ব্রহ্মময় [ অর্থাৎ ৰেমন প্ৰণবে সকল বিশ্ব নামরূপের সহিত একতা, সমতা হইয়াছে, সেইরূপ আপনার উপাধিগত দ্বৈতভেদ ভাব আত্মস্বরূপে সমতা করিয়া অদ্বৈতভাবে তন্ময় ] ভাবনা করেন। একারণ সেই সমদৰ্শী সাধকের কোন প্রকার প্রত্যবায়, অঙ্গৰৈগুণ্য জনিত দোষ হইবার সম্ভাবনা থাকে না। মহান পদে আরূঢ় মহামনা সেই সাধকের, মহামন্ত্র প্রণব সাধন মাহাত্যে, সকল বৈগুণ্য সাঙ্গ অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ হয় ইহা নিশ্চয় জানিবে, প্রণবই সকলের মূল ইতি। ওঁ তৎসৎ ওঁ । - *