পাতা:সারার্ণব - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমারাধ্য শ্ৰীল ঐযুক্ত খামাপদ তর্ক সিদ্ধান্ত । - মহাশয় খ্ৰীপদাম্বুজেযু প্ৰণতি পুৰ্ব্বক নিবেদনন্বিশেষঃ - মহাশয়ের ২৮ মাৰীয় অনুগ্রহ পত্রী পাঠ পূর্বক পরম স্বৰী হইয়াছি। সারার্ণব প্রথম খণ্ড পাঠে যে আপনি সন্তোষ প্রাপ্ত হইয়াছেন তাহাতেই আমার শ্রম সফল হইল। আপনার প্রশ্নগুলির সদুত্তর দেওয়া আমার মত অল্প বিদ্যা বুদ্ধি বিশিষ্ট জনের দুঃসাধ্য, তথাপি আজ্ঞা পালন করা কর্তব্য বিবেচনায় গুরুদত্ত জ্ঞান পুষ্পে গুরুর না করিতে প্রবৃত্ত হইতেছি, ভরসা করি মহাশয় গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজার ন্তায় উত্তর গুলিন গ্রহণ করিয়া ভ্রমপ্রমাদ সংশোধনে চরিতার্থ করিবেন। ১ । বিপাশা নদীর ঠিকানা কোথায় ? হিমালয় পৰ্ব্বতের পূর্ব পশ্চিম ভাগ হইতে নিঃস্থত পঞ্চ নদের মধ্যে বিপাশ। একটা নদী। ইহা জালন্ধরপীঠ বেষ্টন পূর্বক শতক্রতে সক্ষ্মীলিত হইয়াছে। পঞ্চনদ দেশকে এক্ষণে পঞ্জাব বলে, তত্রস্থ জলন্ধর পীঠকে ‘জলন্ধর’ এবং বিপাশাকে “বিয়াশ বলিয়া থাকে। জালামুখী স্থানই জলন্ধর পীঠ ৬ । ২। পিশাচ কি উপদেবতা না মনুষ্য ? অমরকোষানুসারে পিশাচ, গুহ্যক, গন্ধৰ্ব্ব ও বিদ্যাধর এই চারি জাতিকে দেবযোনি বলা যার, কিন্তু পিশাচযোনি মনুষ্যযোনির সহ বিশেষ ঘনিষ্ঠতা রাখে, কারণ ইহার হিমাচলের পশ্চিম অনাৰ্য্য দেশবাসী পূৰ্ব্ব আৰ্য্যদেশের অতি নিকটেই আছে, তাহার প্রমাণ কাশীখণ্ডে প্রাপ্ত হওয়া যায়। শিবশৰ্ম্ম বিষ্ণুলোক গমন কালীন হরিদ্বার হইতে উখিত হইয়া প্রথমেই এই দেশ দর্শন প্রসঙ্গে বিষ্ণুদূতকে জিজ্ঞাসা করাতে দুত কহিল,— “অয়ং পিশাচ লোকহত্র বসন্তি পিশিতাশনাঃ । দত্ত্বানুতাপভাজা যে নো নো কৃত্বা দদাত্যপি ॥” অর্থাৎ পিশিতাশন শব্দার্থে পিশাচজাতি, যাহার দান দিয়া অনুতাপ করে এবং দেব না দেব না করিয়া অনিচ্ছা পূর্বক দান দেয়, তাহারাই এই স্থানে বাস করে । অতএব “বহি ও ইক’ পিশাচ দম্পতি যাহাদিগকে অনাৰ্য্যের “আদম ও ইব’” বলে, তাহার দেবযোনি ছিল , পরন্ত, তাহাদের অপত্যের বেদোক্ত বর্ণাশ্রমাচার

  • ইং কাংড়া ভ্যালি । *