পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मांकृत

লোকে না খেয়ে মরছে, উলঙ্গ হয়ে থাকছে, এখন ভাড়ামি সায় মানুষের ? তাও আবার মেয়েদের নিয়ে ইয়াকি !

পরমেশ্বর গম্ভীর হয়ে বলে, এখানে আরও মহিলা উপস্থিত আছেন, তারা কিন্তু রাগ করেন নি । পরমেশ্বর শুধু হাসায় না, দরকার হলে খোচা দিতে পারে! রেণুকা ছাড়া যে পাঁচজন স্ত্রীলোক উপস্থিত ছিল তাদের কেউ মহিলা বলে না। দু’জুনু হিন্দুস্থানী স্ত্রীলোকের কাপড়ে স্পষ্ট ছাপ লাগানো আছে যে তারা নূতন বাড়ী তুলিবার চুণ বালি বয়, অন্য তিনজন বাঙালী স্ত্রীলোককে দেখেই বোঝা যায়৷ পেট চালাবার জন্য তারা বিস্তু-গিরি ধরণের কাজ করে !! রেশন-ক্লার্ক বরুণ তাড়াতাড়ি রেণুকার কার্ড ক’খানা আগে লিখে কেষ্টকে বলে, আগে এরটা মেপে দাও-হাত চালাও একটু! পরমেশ্বর জোরালো একটা আপশোষের শব্দ করে বলে, না, আর ভাড়ামি নয় । এবার থেকে রেশন নিতে এসে চোটপাট করতে হবে, তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব সকলের আগে। রেণুকা তীব্র দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। সে নিজেই যে গায়ে পড়ে পরমেশ্বরকে শাসন করতে গিয়েছিল। সে ভুললেও উপস্থিত অন্য কেউ কথাটা ভোলে নি । তাই, পরমেশ্বরের ঝাল। ঝাড়বার ইচ্ছা ও ক্ষমতার পরিচয়টা তারা বিশেষভাবে উপভোগ করে। মানুষটা অন্য কেউ হলে হয়তো শুধু মেয়েছেলে বলেই অনেকে রেণুকার পক্ষ নিত। রেণুকা ৱেশন নিয়ে চলে যাবার পর চশমা পরা সুৱৰ্জন বলে, ক্যাট্রা উনি বলেছিলেন ঠিকই, ওভাবে না বললেই ভাল করতেন।