পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa সাৰ্বজনীন অর্থাৎ কখনো ভাবে নম্রভাবে গিয়ে পরমেশ্বরের মন ভুলিয়ে তার খারাপ ধারণাটা নাকচ করে দেবে, আবার কখনো ভাবে অশ্রদ্ধা। আর অপমান দিয়ে জর্জরিত করে দেবে পরমেশ্বরের মন, সে টের পাবে যে যাই সে ভাবুক পদ্মার সম্পর্কে পদ্মা গ্ৰাহও করে না। ভাবতে ভাবতে অধীর হয়ে ওঠে। আচমকা বিধুভুষণকে বলে, আমি একটু গাড়ীটা নিয়ে বেরোচ্ছি। বাবা । শীগগির ফিরব ।

একা তুমি রোজ রোজ এভাবে গাড়ী নিয়ে গেলে
আমার আজ বিশেষ দরকার ।
কোথায় যাবে ?
রঞ্জনদের বাড়ী ।

বিধুভুষণ নির্বিকার ভাবে বলে, আচ্ছা যাও। সুরঞ্জনের বাড়ীর অবস্থা আরেকটু ভাল হলে কোন কথাই ছিল না, শুধু এই একটা বিষয়ে মনটা একটু খুঁত খুঁত করে বিধুভুষণের। তবে 'আপত্তি করার ইচ্ছাও তার নেই। এক ছেলে, ছেলেটি ভাল, ভবিষ্যৎ আছে। কান্তিলাল গাড়ী চালায়। এক গাড়ীতে চাপলে পদ্মার নিজেকে এক মনে হয় না, নিজেকে ছোট মনে হয় না, অস্বস্তি আর আত্মানির বিশ্ৰী অনুভূতিটা টেরও 어, Fi || মনটা আশ্চৰ্য্যরকম শান্ত হয়ে যায় । নিজেকে সজীব মনে হয় । সে কেন তুচ্ছ হতে যাবে ? সে স্বাধীন মানুষ নয় ? নিজের ইচ্ছামত বঁাচার অধিকার তার নেই ?