পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YSqeo সাৰ্বজনীন হঠাৎ বলে, আচ্ছা যাই এবার। পরমেশ্বর বলে, মন শান্ত হল না মা ? চব্বিশ ঘণ্টা সবাই মিলে ঝড় তুলে দিচ্ছে, বোকা ছেলের কি সাধ্য আছে দু’দণ্ডে ঝড় থামিয়ে দেব ? পদ্মা তার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। সুরঞ্জনের নাম করে গাড়ী নিয়ে বেরিয়েছে, দু’চার মিনিটের জন্য হলেও দেখা করে যাওয়া উচিত । সুরঞ্জন বাড়ী নেই শুনে কি স্বস্তিটাই যে পদ্মা বোধ করে ! সুরঞ্জনের মার মুখ একটু গম্ভীর দেখায় । : একলাই এসেছ ? বাড়ীর গাড়ীতে এসেছ ?-ও ! অচিন্ত্য বলে, কিছু বলতে হবে রঞ্জনকে ? : না, কিছু বলতে হবে না। গাড়ীতে উঠে পদ্মা বলে, গঙ্গার ধারে চলুন। বাড়ী ফিরতে ইচ্ছা! হচ্ছে না ।

বাবুর আপিসের টাইম হয়ে যাবে। পদ্মা হেসে বলে, সে ভাবনা আপনার কেন? টাইম হয়ে যায় বাবা ট্রামে, বাসে আপিসে যাবে। দু'দিন আগেও তো তাই গিয়েছে ।

বড় রাস্তায় খানিকটা যাবার পর পদ্মা গাড়ী থামিয়ে সামনের সিটে কান্তিলালের পাশে এসে বসে ।

আপনার সঙ্গে আজ ভাল করে আলাপ করতে হবে ।

শুধু পূজো দেখে যাবার নিমন্ত্রণ ছিল সমীরের। এক সুরমা ছাড়া তাকে বিশেষভাবে কেউ নিমন্ত্রণ করেনি। কৰ্ত্তব্যক্তিদের পক্ষ থেকে সাধারণ ভাবে তাদের সমগ্ৰ পরিবারটিকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল ।