পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cess ডোবার মত পুকুরটির ওপাশের বস্তিতে আশ্বিনের রাত্রি ভোর হবার অনেক আগেই জিতুর ঘুম ভেঙ্গে যায়। नद्मक योद्धांब्र डांcि । মিউনিসিপ্যালিটির মেথররা দশদিন ধৰ্ম্মঘট করেছে। আবছা আঁধারে দু’একটা ডানপিটে পাখীর ডাক শুনতে শুনতে জিতু ঘাটের দিকে এগোয়, জানা গাছটা থেকে আন্দাজে একটা দাঁতন শুকোতে শুকোতে পুকুরটার জল বর্ষার আগে একেবারে নীচে গিয়ে ঠেকে, তালগাছের গুড়ির ঘাটটাও ধাপে ধাপে নেমে যায়-খাড়া ঢাল বেয়ে সাবধানে নামতে হয় । বর্ষার পর এখন পুকুরটা কানায় কানায় ভরা। এখন তবু পুকুর মনে করা যায় এবং জলটা ব্যবহার করতে ঘেন্না হয় না। তালের গুড়িটার উপরে এসে দাড়াতে নতুন একটা দুৰ্গন্ধ জিতুর নাকে লাগল। { দুৰ্গন্ধের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট পরিচয় । কলকাতার গায়ে লাগানো গেয়ো পাড়ায় তার সাতপুরুষের বসবাস। চারিদিকে কারখানা ঘিরে ফেলেও বহুকাল যা করতে পারে নি, এবার যুদ্ধের বাজারটা তাই করে দিয়ে গেছে। পাড়ার এই অংশটা হয়ে দাড়িয়েছে বস্তি। নিজের নাক দিয়ে চোখে চেখে সে জেনেছে জগতে কত রকমারি দুৰ্গন্ধ আছে -শুকনো, ভাপসা, গরম, ঘন, পাতলা, তীক্ষ্ম, ভোতা কতই যে তার বৈচিত্ৰ্য।