পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন S حیا দিন দিন বিষন্ন গম্ভীর মুখে আরও সুনিবিড় বেদনার ছায়া নেমে আসে মহেশ্বরের । তার কথা কমে যায়। সে যেন বিমিয়ে 19V5 K ভাগ্য তার মন্দ সব দিক দিয়েই। এবার চরমে উঠল দুৰ্ভাগ্য। পরমেশ্বর বলে, দুৰ্ভাগ্য নয়, পরীক্ষা। আর কতকাল একভাবে টানবে ? এবার পালা বদলের পালা ! মহেশ্বর বলে, তুমি কোন ব্যবস্থা করতে পার না ? : ব্যবস্থা বলে দিতে পারি। চাঁদা তুলে পূজা কর। মহেশ্বর চুপ করে থাকে। সাতপুরুষের একটানা পুজো । সুভাগিনী মেঝেতে কপাল কোটে । আগেকার তুলনায় একরকম কোন সমারোহই হয় নি। গত দু’বছরের পুজায়। তবু সে দিনগুলির কথা স্মরণ করলে, দিনগুলি এবার আর ঘুরে আসবে না ভাবলে এখন থেকেই বেঁচে থাকা যেন নিরর্থক হয়ে গেছে मेंgन श् । এদিক ওদিক কাছাকাছি আরও পূজা হয়। কিন্তু দুটি বদ্ধ গলি ও ফাকা জমিটুকু ঘিরে প্রায় ত্রিশখানা ছোট বড় বাড়ী আর গা-ঘেষা ছোট উদ্বাস্তু কলোনিটা নিয়ে তাদের এই ছোট পাড়াটি ধরলে, এখানে শুধু তারই বাড়ীতে পূজা হয়েছে গত দু’বছর। তার ছোট উঠানে সারাদিন ভিড় করে থেকেছে পাড়ার ছেলেমেয়েরা, বুড়োর পুজোমণ্ডপের পাশে বারান্দায় আসার জমিয়েছে, ছেলেমেয়েদের সমবয়সী বন্ধুরা হৈ চৈ করে। খেটেছে, মেয়ে বৌ গিল্পীরা সকাল সন্ধ্যায় এসে ভিড় করে দাড়িয়ে আরতি দেখেছে। এ বছর আলো জলবে না, বাজনা বাজবে না, কেউ আসবে না তার