পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন ora দীনেশ বলে, লোকটির ব্যবহার ভাল । ছেলেরা কি সহজ গোলমালদ্ব করেছে। সারাদিন, কখনো বিরক্ত হন নি। সকলকে ভাকা, খাতির করে বসানো, এসব ক্ৰটি হয় নি। মহেশ্বরের প্রশংসায় সদাশিবের গা জ্বালা করে, কিন্তু উপায় কি। দেখা যায় পাড়ার অধিকাংশ লোকেরই এই অভিমত। মহেশ্বরের বাড়ী পূজা হবে না। শুনে সকলেই কমবেশী দুঃখিত হয়েছে। বাড়ীর কাছে একটা পূজা হলে সর্বদাই বিশেষ একটা রং লাগে মনে পূজার দিনকটিকে যেন চব্বিশ ঘণ্টা ধরে আরও প্রত্যক্ষ ভাবে ঘনিষ্ট ভাবে পাওয়া যায়। একজনের বাড়ী পূজা হলে প্ৰতিবেশীরা হয় অংশীদার, ঘরোয়া শব্দ গন্ধ দৃশ্যের মত পূজাকে অনেকটা নিজের করে পাওয়া যায়। পাড়ার এই সাৰ্বজনীন খেদটা অনুভব করে পাড়ায় সার্বজনীন পূজা করার কথাটা গিরীনের মনে আসে। ছোট পাড়া, ব্যবসায়ী সদাশিব আর পেন্সনভোগী বিনােদবিহার ছাড়া সকলেই হয় মোটামুটি অবস্থার কিম্বা গরীব মানুষ, চাঁদা তুলে দুৰ্গাপূজা করা কঠিন ব্যাপার। কিন্তু সকলের যদি ইচ্ছা হয় উৎসাহ জাগে, অসম্ভব হবে না । যোয়ানের কথা পাড়া মাত্র উৎসাহিত হয়ে ওঠে। বড়দের সঙ্গে কথা বলেও দেখা যায় যে পূজা হোক এটাই সকলের ইচ্ছা-যদি সম্ভব হয় ! সদাশিবের কাছে কথাটা পাড়তেই সে সায় দিয়ে বলে, ভালই তো । পাড়ায় একটা পূজা হবে, এ তো আনন্দের কথা। চাদায় যদি না কুলোয়, বেণী যা লাগবে। আমি দেব। তাকে এই উদারতার জোর টানবার সুযোগ না দিয়ে গিরীন বলে, আমরা ভাবছিলাম মহেশ্বরবাবুকে প্রেসিডেন্ট করা হৰে। পাস্কার সবা