পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

weoዓ সাৰ্বজনীন চিলেকূট পৰ্যন্ত বেদখল হয়ে আছে। আমার বড় শালার শ্বশুর মশায় দোতলার বাথরুমটি নিয়েছেন। আসুন, পারেন তো দখল করুন ঘর । বলে সত্য সত্যই দরজা খুলে ঘনশ্যাম সরে দাড়ায়। দেখা যায় প্যাসেজে ভিড় করে দাড়িয়েছে জন ত্ৰিশোক মেয়ে পুরুষ ! মেয়েদের সংখ্যাই বেশী। গণেশের মা অনেককেই চিনতে পারে, মুখে আনন্দের হাসি ফুটিয়ে নাম ধরে সম্পর্ক ধরে একে ওকে তাকে ডেকে বলে, তুমিও এখানে আছ ? ! অমুক কই ? কেমন আছে ? বলতে বলতে গণেশের মা এগিয়ে যায়, কিন্তু তারা কেউ একচুল নড়ে না, বাড়ীতে ঢুকবার প্যাসেজ ব্যারিকেড করে দাড়িয়ে থাকে ! একজন প্রৌঢ়া বিধবা বলে, এ বাড়ীতে কোথায় উঠবে গণেশের মা ? তিল ধারণের যায়গা নেই। আমরাই বলে যে কষ্টে আছি। গণেশের মা বলে, তা হলে উঠিব কেন পিসী ? এ বেলাটা বিশ্রাম { করি, ওবেলা কোথাও চলে যাব। পিসী বলে, কোথা যাবে ? যাওয়ার যায়গা আছে। এ সহরে ? ভেতরে একবার ঢুকলে বাছা তোমরা আর নড়বে না, নড়তে পারলে তো নড়বে? আমাদের শোয়া বসা নড়াচড়ার যায়গা নেই, তোমরা এতগুলি লোক ঢুকলে কেউ আর বঁাচবে না। ঘনশ্যাম আবার অট্টহাস্য করে ওঠে। গণেশের মা হতভম্ব হয়ে বলে, দুয়ার থেকে ফিরে যাব ঠাকুরপো ? বাড়ীতে ঢুকতে দেবে না, দুদণ্ড বসতে দেবে না ? ঘনশ্যাম বলে, আমি কি করব ? দেখছেন তো অবস্থা, নিজের বাড়ীতে কোণঠাসা হয়ে আছি। সুভাগিনী বলে, চলেন চলেন, আমাদের বাড়ীতে চলেন। কি * দরকার। এদের অত তোষামোদ করার ?