পাতা:সার্বজনীন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাৰ্বজনীন । yr নইলে দেশ ছেড়ে সবাইকে ছেড়ে এখানে এসে এভাবে থাকবেন কেন ? জেনে শুনে আমরা কেন ওঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাব ? জুলুম করব ? সমীর হেসে বলে, আপনার ভুল করেছেন। : फूल ? ঃঃ আমি এখন বুঝতে পেরেছি। ব্যাপারটা । উনি আপনাদের “ভালবাসতেন-আপনার ঔর সম্বন্ধে একটা ভুল ধারণা করে নিয়ে ওঁকে এমনভাবে অবহেলা করেছেন যে উনিও আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন নি-একলা জীবনটা কাটিয়ে দেবেন ঠিক করেছেন। শুধু দেখা করতে আসা নয়, আপনারা সবাই একরকম ওঁর ঘাড়ে এসে চেপেছেন । তবু ওনার দিব্যি খুলীর ভাব। এটা কি করে হয় ? আগে যদি আপনারা একটু স্নেহ মমতা দেখাতেন আর স্নেহ মমতা চাইতেন, ওনার জীবনটা অন্য রকম হয়ে যেত । সুরমা হেসে বলে, আমরা তো সেদিন জন্মালাম । বাবার চেয়ে উনি মোটে দেড় বছরের বড়। ছেলেবেলা থেকে বাবা ওঁকে দেখে আসছেন, এৰাবার কখনো ভুল হয়? অল্প বয়স থেকে উনি আত্মীয়স্বজনকে ছাড়তে আরম্ভ করেন। কলেজে পড়বার সময় প্রথম প্রথম পূজোর ছুটি গরমের ছুটিতে দু’চারদিনের জন্য বাড়ী যেতেন, পরে একেবারে যেতেন না।-- মহেশ্বরের কাছে শোনা পরমেশ্বরের অতীত জীবনের কাহিনী সুরমা সমীরকে শোনায় । ছুটিতেও বাড়ী না যাওয়ায় মা কেঁদে কেটে আর এবাবা কড়াসুরে বুঝিয়ে ছেলেকে চিঠি লিখত-তাকে স্মরণ করিয়ে দিত তার দায়িত্ব আর কৰ্ত্তব্যের কথা। পরমেশ্বর জবাবে লিখত, বাড়ী যেতে তার ভাল লাগে না, কারণ বাড়ীর সকলে সব সময় অকারণে দুঃখী সেজে "থাকে, বাড়ীতে আনন্দ নেই। মিছিমিছি নানা রকম ঝনঝাট বাঁধিয়ে বাড়ীর সবাই যেন সব সময় দুঃখী হয়ে থাকতে ভালবাসে । কোন ৷