পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

সংঘাত এবং তার সমস্যা নিয়ে তিনি গভীরভাবে আলোচনা করেছেন, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসুত্র দেখাতে চেষ্টা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে অতীত এবং বর্তমানের নারীর মধ্যে তিনিই প্রথম যোগসূত্র। তিনি শুধু নিজেই একজন বড় লেখিকা ছিলেন না, বড় লেখিকাদের শক্তিকে অঙ্কুরে চেনবার অদ্ভুত শক্তি তাঁর ছিল। অখ্যাত অজ্ঞাত লেখিকাদের আবিষ্কার ক’রে প্রথম থেকে তাদের সাহিত্য-সাধনায় উদ্বুদ্ধ করবার ক্ষমতা তাঁর ছিল অসাধারণ। তিনি দীর্ঘকাল যোগ্যতার সঙ্গে “ভারতী পত্রিকা” সম্পাদন করেছিলেন। একবার বাংলা ১২৯১ সাল থেকে ১৩০১ সাল পর্যন্ত এগারো বছর, আর একবার ১৩১৫ সাল থেকে ১৩২১ সাল পর্যন্ত সাতবছর তিনি এই পত্রিকার সম্পাদিকার কাজ যোগ্যতার সঙ্গে চালিয়েছেন। এই সময়ে সম্পাদিকারূপে বিষয় নির্বাচনে এবং সম্পাদকীয় মন্তব্যে এবং মৌলিক রচনায় তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েই ক্ষান্ত হননি, বর্ত্তমান বাংলার অধিকাংশ যশস্বী ও যশস্বিনী লেখক লেখিকাকে সস্নেহ প্রেরণা দান করে এবং তখনকার দিনের সব চেয়ে নামকরা মাসিক পত্রিকায় স্থান দিয়ে নূতন লেখকলেখিকাদের উৎসাহ বর্দ্ধন করেছেন। তাদের অস্ফুট শক্তিকে ফুটিয়ে তুলে অজস্র কুমুদ-কহ্লারের গাঁথা মালায় বঙ্গভারতীর পূজাবেদীকে সুশোভিত হ’বার সুযোগ করে দিয়েছেন। মনিলাল, সৌরীন্দ্রমোহন, বিভূতিভট্ট, সত্যেন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, (এঁর বড়দিদি সর্বপ্রথম ছাপা উপন্যাস ভারতীতেই প্রকাশিত হয়েছিল)। অপর দিকে অনুরূপা দেবী, ইন্দিরা দেবী, নিরুপমা দেবী, শৈলবালা ঘোষজায়া, আমোদিনী ঘোষজায়া, লজ্জাবতী