পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
১৯৩

প্রদেশের হিন্দী কবিদের মধ্যে শ্রীমতী সুভদ্রাকুমারী চৌহানের নাম উল্লেখযোগ্য। ভূপালের ভূতপূর্ব বেগম সাহেবারও শিক্ষিতা নারীপ্রসঙ্গে নাম করতে হয়। শ্রীমতী অনসূয়া বাই কালে ব্যবস্থাপক সভার প্রথম মহিলা সদস্য। তাঁহার পরে অবশ্য বিভিন্ন প্রদেশে আরও অনেক মহিলা উক্ত পদ লাভ করতে সমর্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেহ কেহ পরিষদের ডেপুটি স্পিকার বা প্রেসিডেণ্টের পদ ও সমলঙ্কৃত করেছেন, যেমন মান্দ্রাজ প্রদেশে মিসেস রুক্মিণী লক্ষ্মীপতি, মধ্যপ্রদেশে মিসেস কালে, আসামে মিসেস জুবেদা আতাউর রহমান। আসাম প্রদেশে বর্তমানে একজন মহিলা মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিতা আছেন, তাঁহার নাম মিস সেভিস ডান লাইংডো। ইনি জাতিতে খাসিয়া, খৃষ্ট ধর্মাবলম্বিনী।[১]

 সুপণ্ডিতা মুসলিম নারী বেগম সাহ নওয়াজ পূর্বে দেশভক্ত ও কংগ্রেসপন্থী ছিলেন; এক্ষণে সম্প্রদায়গত স্বার্থের খাতিরে মুসলিম লীগের পক্ষপাতী হয়েছেন। বিলাতের গোলটেবিল বৈঠকে (১৯৩০-৩২ খৃঃ) তিনি, মিসেস রাধাবাই সুব্বারাওন এবং একজন ব্রহ্মদেশীয়া মহিলা উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় নারীর ভোটাধিকার লাভের জন্য ইহাঁদের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য। এর পূর্ববর্তী যুগে অর্থাৎ মণ্টেগু চেম্‌সফোর্ড রিফর্মের সময় ১৯১৯ খৃষ্টাব্দে বোম্বাই হ’তে পার্সী মহিলা মিসেস হীরা বাই টাটা এবং তাঁহার কন্যা মিস নিঠম্ টাটা ভারত নারীর ভোটাধিকার লাভের জন্য আন্দোলন করতে ইংলণ্ডে গিয়েছিলেন। এখানে বলা

  1. স্বাধীন ভারতে রাজকুমারী অমৃত কাউর, মিসেস স্বামীনাথন্ আরও অনেকে বহুতর উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।