পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
১৯৯

‘মেরী বার্টন’ তাঁর আটত্রিশ বছর বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়। এঁর লেখার বিশেষত্ব এঁর বস্তু-তান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী। এঁর পূর্ববর্তিনীরা জীবনের বর্ণনায় কল্পনায় রং ফলিয়েছেন, ইনি যা’ স্বচক্ষে দেখেছেন তার বাইরে এক পা যাননি। এঁর লেখা “শার্লোট ব্রঁতে”র জীবনীর মতো সুলিখিত জীবনী ইংরেজী সাহিত্যে বেশী নেই, কিন্তু এই লেখার জন্য এত লোক তাঁর কাছে এত রকম অভিযোগ করেছে, যে বিরক্ত হয়ে মরবার আগে অনুরোধ করে গেছেন, যেন তাঁর জীবনী লেখা না হয়। পরবর্তী লেখিকা এলেন প্রাইস বাল্যে লেখিকা হ’বার কোন লক্ষণই দেখাননি। অল্পবয়সে বিধবা হয়ে তিনি ফ্রান্স থেকে ফিরে আসেন এবং সময় কাটাবার জন্য লিখতে আরম্ভ করেন। ছেচল্লিশ বছর বয়সে তাঁর প্রথম গল্প “ডেন্সবেরী হাউস” ছাপা হয়, এক মদ্যপান-নিবারিণী পুরস্কার প্রতিযোগিতার জন্য। পরবৎসর তাঁর ‘ইষ্টলিন’ বার হল। এই করুণ কাহিনী পঞ্চাশ বৎসর ধরে ইংরাজী সাহিত্যে অসামান্য প্রভাব বিস্তার করে আজ অনেকটাই অনাদৃত। মানুষের রুচি বদলেছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বদলেছে। ঘরে ভাত, মনে শান্তি এবং সংসারে সুখ থাক্‌লে মানুষ বই পড়ে কেঁদে মুখ বদল কর’তে পারে, জীবন যখন অশান্তিতে দৈন্যে অশ্রুতে ভরে উঠে, তখন বিয়োগান্ত কাব্য-নাটকের মূল্য থাকে না। তখন অশ্রু-সজল মন হাসানর জন্য প্রয়োজন হয় মিলনান্ত কাব্য-নাটকের লেখকদের। যাঁরা বুদ্ধিমান্‌ তাঁরা চিরদিনই তাই মধ্যপন্থী, তাঁদের বাজার দর খুব বেশী না উঠুক, খুব বেশী নেমেও পড়ে না কোনদিন। মিসেস উডের “ইষ্টলিন”, “চানিংস্‌”, “রোল্যাণ্ড ইয়র্ক”