পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০৬
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

বই পড়ার রেওয়াজ খুবই ছিল, কেন না নির্জন দেশে বইয়ের চেয়ে ভাল সঙ্গী বেশ মিলে না। যাঁরা সময় পেতেন ক্রমে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিখতেও আরম্ভ করলেন। এই প্রথম যুগের লেখিকাদের মধ্যে এমা সার্তদয়র্থ সব চেয়ে প্রসিদ্ধ। তাঁর বইয়ে বিচিত্র রোমাঞ্চকর ঘটনা সমাবেশ এবং ভাবপ্রবণতার পরিচয় থাকলেও মানব-চরিত্র সম্বন্ধে অন্তর্দৃষ্টির অভাব ছিল, তাই আজ তাঁর উপন্যাসগুলির আদর কমে গেছে। কুমারী বয়সের নাম ডরথি এলিজা সেভিউ। জন্ম হয় ১৮১৯ খৃষ্টাব্দে, অল্প বয়সে দু’টি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাবার জন্য তাঁকে শিক্ষয়িত্রীর কাজ নিতে হয়। সাময়িক পত্রিকায় ক্রমে তাঁর লেখা ছাপা হতে থাকে। পাঠকের উচ্চ প্রশংসার সঙ্গে অর্থাগমও শুরু হয়। চাকুরী ছেড়ে দিয়ে তিনি তখন লেখাই পেশা করেন। একে একে আটষট্টিটি উপন্যাস লেখেন। “পরিত্যক্তা স্ত্রী”, “ক্লিফটনের অভিশাপ”, “হারাণো উত্তরাধিকারিণী” প্রভৃতি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তিনি তাঁর দেশের, তাঁর সময়ের পাঠকের জন্যই লিখেছিলেন, এ কথা মনে রাখলে আমরা তাঁর প্রতি সুবিচার করতে পারব। তাঁর সমসাময়িক সুপণ্ডিতা মার্গারেট ফুলার দশ বছর বয়সে ল্যাটিন এবং তেরো বছর বয়সে গ্রীক শিখেছিলেন। প্রবন্ধ এবং ভ্রমণ-কাহিনীর সঙ্গে তাঁর চিঠি লেখারও নিপুণতা ছিল। সুন্দর বক্তৃতা দিতে পারতেন, বহু সাহিত্যিক নিয়ে মজলিস করতেন। এই অসাধারণ শক্তিমতী নারী ইটালীয় এক কাউণ্টকে বিবাহ ক’রে প্রবাসী হন এবং ফেরার পথে জাহাজডুবি হ’য়ে মারা যান। আজ তাঁর নাম পর্যন্ত লোপ পেতে বসেছে। এই সময় একজন লেখিকার নাম