মাকে নিয়ে ছেলেদের রঙ্গরস হাসি-তামাসাও বড় কম চলে না! অভিমান, আব্দার, ঠাট্টামস্করাও যত, আবার দৃঢ়বিশ্বাস এবং ঐকান্তিক আত্মনিবেদনও তেমনি! প্যারীমোহন কবিরত্ন বলছেন;—
“ঐ নেংটা মেয়েটা এলো, এলো সমরে,
চেয়ে দেখ ভূপ, কি বিকট রূপ,
মড়ার মাথা গলায় গাঁথা,
মড়ার আঙ্গুল কোমরে!”
আবার সঙ্গে সঙ্গেই বলা হচ্ছে;—
‘‘এইবেলা মন ডেকে নে’রে নীলাজবরণী মাকে, নিলাম নিলাম ক’চ্ছে শমন, কখন নে’বে নিলাম ডেকে।”</poem>
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র আব্দার ধরলেন;—
“দিয়ে সত্য জ্ঞানানুবোধ”,
“কর দুর্গে দুর্গতিনোধ”
শিবচন্দ্র মায়ের দশরূপে চমকিত পুলকিত হয়ে গদগদ বচনে প্রার্থনা জানালেন;—
“তারা কর গো মা পার,
মায়ানদীর মধ্যে পড়ি, ভাবি অনিবার।”
কুমার শম্ভুচন্দ্র গাইলেন;—
কুমার নরচন্দ্র কিন্তু রাজবাড়ীর ছেলের নাম রেখেছেন! হুকুমবরদারদের হুকুম শোনা নয় অভ্যস্ত কি না, তাই কিঞ্চিৎ ধৈর্য্যভাব, আবার মায়ের কথঞ্চিৎ বধিরতা দোষ ত’ আছেই, তাই সাড়া না পেয়ে বেজায় চটে মটে গিয়ে বলছেন;—