‘‘সবিলাস বিগ্রহ মানস সুষমার, আনন্দের প্রতিমা আত্মার
সাক্ষাৎ কার যেন ধ্যান কবিতার, মুগ্ধকারী মূরতি মায়ার।”
বলেছেন;—
নর-পশু বনচারী, গৃহস্থ করিল নারী।
ছিল নর জড়ের প্রকার,
আদি নারী দিয়া তার সুখ আস্বাদন,
বিকাশিল বোধ কলি তার।
যদি মৃত্যু এনে থাকে মহিলা ধরায়,
সে ক্ষতি সে করেছে পূরণ,
যমযানে জরাজীর্ণে লোকান্তরে যায়,
নারী করে প্রসব নূতন।”
কোন দুঃখ ধরা ধরে, নারী যায়ে নাহি হরে?
মর্ত্তে মূর্ত্তিমতী মায়া অঙ্গ অঙ্গনার।
কবি অক্ষয়কুমার বড়ালের নারী কোন রূপক রূপিণী নয়; নারীর জীবন্ত মূর্ত্তি।
“প্রাণান্তক জীবনসংগ্রামে তুমি বিধাতার আশীর্ব্বাদ
নিত্য জয় পরাজয়ে পাছে পাছে ফিরিতেছ
অঞ্চলে লইয়া সুখসাধ।”
তিনি অসুন্দরকে সুন্দর করেন, লক্ষ্মীছাড়াকে লক্ষ্মীশ্রী এনে দেন;—
“আমি জগতের বাস, বিশ্বগ্রাসী মহোচ্ছ্বাস,
তুমি হেসে বসে বামে, সাজাইয়া ফুলদামে,
কুৎসিতে শিখালে শিবে হইতে সুন্দর।