তোমারই প্রণয়স্নেহ, বাঁধিল বিশালগেহ,
পাগলে করিল গৃহী, ভূতে মহেশ্বর।”
আবার বলেছেন;—
‘‘লয়ে প্রেম সুধারাশি, এস দেবী, এস দাসি,
এস সখি, এস প্রাণপ্রিয়া।
এস সুখে দুঃখ হরে, জন্ম মৃত্যু ভেঙ্গে চুরে
সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় ব্যাপিয়া।
এস প্রিয়া প্রাণাধিকা, জীবন হোমাগ্নি শিখা
দিবসের পাপতাপ হোক হতমান,
ওই প্রেমে প্রেমানলে, ওই স্পর্শে বাহুবন্ধে,
আবার জাগুক মনে আমি যে মহান।
একেশ্বর অদ্বিতীয় অনন্ত মহান॥”
পত্নীবিয়োগের পর তাঁর কাব্যলক্ষ্মীকে গৃহলক্ষ্মীরূপে চিনতে পেরে যে শোকগাথা কবি গেয়েছেন, নারীজাতির সেই স্তবগাথা, আর্য্যঋষিদেরই সমুচ্চারিত বাণীর তাহা প্রতিধ্বনি।
কবি দেবেন্দ্রনাথ সেন বলেছেন;—
“যাদুকরি যেই এলি, অমনি দিলাম ফেলি,
টীকাভাষ্য তোর ঐ চক্ষুদীপিকায়
বিদ্যাপতি চণ্ডীদাস সব বোঝা যায়।
শব্দ হয় অর্থবান, রস হয় মূর্ত্তিমান,
রস উথলিয়া উঠে প্রতি উপমায়
যাদুকরি এত যাদু শিখিলি কোথায়?”
সেই নারীরই আবার বিধবা সধবা নানান্ মূর্ত্তি এঁকে গড়ে বলেছেন;—