-কৈ?—এ কি হইল?—সেইটি—সেই সর্ব প্রথমেরটি? -সেই সাক্ষাৎ দেবতুল্য শক্তিসম্পন্নটি?—সে কোথায় গেল? —আর এখানে থাকিব না। সে যথা, গিয়াছে সেইখানেই যাইব। বাহির হই-হাত ধরিলেন—নিকটে একটি গাছ ছিল, তাহার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন। দেখাইলেন গাছটির তলায় অনেকগুলি অপৰু কুঁড়ি পড়িয়া রহিয়াছে। অপূর্ণ নয়নে বাষ্পদিগ্ধ গদগদম্বরে বলিলেন, “মুকুল যত হয় ফল তত হয় না।” তথ্য বুঝিলাম। থামিম-ইতি প্রবোধ-দায়িনী।
এ কি হইল?—তিনি কৈ?—যে-সকলকে নিতান্ত আমার বলিয়া মনে করিতাম, তাহাদিগকেও ত’ আর তত আমার বলিয়া মনে হইতেছে না। আমি আবার জগতে ‘একা’!—আবার আমার পৃথিবী শ্মশান! যেমন হৃদয়মধ্যে এইরূপ ভাবিলাম, অমনি তথায় অশরীরী বাণী নিঃসৃত হইল—“শোকে মুগ্ধ হইও না—তুমি আর তেমন ‘একা হইতে পার না, তোমার পৃথিবী আর তেমন শ্মশান’ হইতে পারে না। তোমার হৃদয় শূন্য নাই -তুমি পৃথিবীকে কর্মক্ষেত্র বলিয়াই জানিয়াছ। ইতি হৃদয়াধিষ্ঠাত্রী-
যে প্রকৃতিশক্তি উল্লিখিত দশবিধরূপে আমার প্রত্যক্ষ- গোচর হইয়াছেন, তাঁহার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করিয়া ভক্তি এবং প্রীতিসহকারে বঙ্গবাসী স্ত্রী-পুরুষের হস্তে এই পুস্তকখানি সমর্পণ করিলাম।”
‘সতীধর্ম”, “স্ত্রীশিক্ষা”, “সৌভাগ্যগর্ব’, ‘‘দম্পতি-কলহ, “লজ্জাশীলতা”, গহনাগড়ান”, “কুটুম্বিতা”, “কাপুত্রের বিবাহ”, “স্বজন-প্রতিপালন” এক কথায় সমগ্র পারিবারিক প্রবন্ধ