আত্মার সম্মান করে, সব দেছে অকাতরে,
সর্বভয় যারা বিস্মরিয়া,—
বোন তুমি তাদেরই আত্মীয়া।”
“অন্নপূর্ণা” কবিতায় তিনি নারীর সম্বন্ধে যা বলেছেন তাতে চিরন্তনী নারীর একটা সম্পূর্ণ চিত্র আমরা দেখতে পাই;—
(১) যে-দেবী ক্ষুধার অন্ন যুগে যুগে যোগাইল জীবে,
অন্নপূর্ণা তারে মোরা বলি।
তাহার বিহারক্ষেত্র নহে কোনো সুদূর ত্রিদিবে,
মর্ত্যভূমি আছে সে উজলি।
মাতারূপে জায়ারূপে কন্যারূপে প্রতি ঘরে ঘরে,
দেশে দেশে প্রাসাদে কুটিরে।
নিখিল নরের মর্মে উপবাসী ভিখারী শঙ্করে,
অন্নপূর্ণা অল্প দিয়া ফিরে।
(২) যে-অন্নে মিটায় নারী দেহের মনের সব ক্ষুধা,
পুরুষে সার্থক করি তুলে!
রাখিতে তাহার মান্য ধনে ধান্যে ভরিয়া বসুধা,
তাই নর আনে আত্মভুলে।
নারী লজ্জা পায় তাই সভ্যতার নেমেছে গুণ্ঠন,
মানুষের পশুত্বের পরে।
নারী সজ্জা চায় তাই বসুন্ধরা করিয়া লুণ্ঠন,
পুরুষ চরণে দেছে ধরে।
(৩) স্নেহ দিয়া সেবা দিয়া স্বপ্ন দিয়া নারী বাঁধে ঘর,
তারা লক্ষ্মী, তারা প্রেমময়ী।