এদের কথা পরে বলব।
কাশ্মীরে আনুমানিক খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে রাজা তুঞ্জীনের মহিষী রণরা দেবী ছিলেন মহাপণ্ডিত এবং যোগসিদ্ধা।
রাজতরঙ্গিণীর লেখকের মতে তিনি দেবী ভ্রমরবাসিনীয় অবতার ছিলেন, দেহ ত্যাগ করে ভিন্ন দেহ ধারণ, মায়াদেহ সৃষ্টি প্রভৃতি অলৌকিক শক্তি বা বিভূতির অধিকারিণী ছিলেন বলে কাশ্মীরের রাজা প্রজা সকলের কাছে তিনি পূজনীয় ছিলেন।
খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে পৃথিবীর নানা দেশে বহু বিদুষী নারীর আবির্ভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। ইংলণ্ডে হিঙা নাম্নী বিদুষী পুণ্যবতী নারী (৬.৪-৬৮০) হুইটুবি মঠের প্রথম মঠাধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য, অনুপম চরিত্র এবং অত্যদ্ভুত সাধনার জন্য খ্রীষ্টান জগৎ তাঁকে ঋষি বলে সম্মানিত করেছে।
খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে ভারতের আর একজন সুপণ্ডিত। রাজবংশীয় নারী ছিলেন প্রভাকর বর্ধনের কন্যা কনৌজের রাণী রাজ্যগ্রী।
মালব ও গৌড়েশ্বরের আক্রমণে তার স্বামীর মৃত্যু হলে তিনি বন্দিনী হন, নানা কৌশলে বন্দিশালা থেকে পালিয়ে বিন্ধ্যারণ্যে গিয়ে তিনি চিতায় পুড়ে মরবার আয়োজন করছিলেন। সময় হর্ষবর্ধন এসে পড়ে তাঁকে মৃত্যুমুখ থেকে রক্ষা করেন। তার পর দিগ্বিজয়ী হর্ষকে উত্তর ভারতে সাম্রাজ্য পরিচালনে সাহায্য করে, তাঁর সঙ্গে ধর্মালোচনায় যোগ দিয়ে এবং তার সকল সৎকর্মের অংশভাগিনী হ'য়ে এই পুণ্যবতী সম্রাট্ভগিনী ইতিহাসে বরণীয়া ও স্মরণীয় হয়ে আছেন।