পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
৪৭

 তুরস্কের বর্বরদল পারস্যে এবং এসিয়া মাইনরে রাজ্যবিস্তার করার সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার প্রাচীন সভ্যতার সংস্পর্শে এসে জ্ঞানচর্চার মাহাত্ম বুঝতে শিখল। প্রাথমিক তুর্কী লেখকের কেউ কেউ আরবের ভাষা গ্রহণ করেছিলেন, আরবী অক্ষর অনতিকাল পূর্বেও তুর্কী সাহিত্যের বাহন ছিল, কিন্তু পরবর্তী যুগের তুর্কী-সাহিত্যে পারস্যের প্রভাব খুব বেশী। তুর্কনারীদের মধ্যে বোরখার প্রচলন ছিল, অনতিকাল পূর্ব পর্যন্ত তাঁদের স্বাধীনতা ভারতবর্ষের হিন্দুযুগের নারীদের চেয়ে অনেক কম ছিল, তবু ভারতীয় মুসলিম নারীর মতো কঠিন অবরোধপ্রথা তুরস্কে কোনো দিনই ছিল না।

 তুর্কী নারী লেখিকাদের মধ্যে পঞ্চদশ শতাব্দীতে জয়নাব ও মিহরী খ্যাতি লাভ করেছিলেন।

 অপেক্ষাকৃত আধুনিক যুগে লায়লা, ফিৎসেহানুম, আমিনা হানুম, হফেৎ হানুম প্রভৃতি সুকবি এবং সুলেখিকা বলে বিখ্যাত হয়েছেন।

 ভারতবর্ষে পাঠান মোগল প্রভৃতি বিভিন্ন নামে প্রধানতঃ তুর্কী-রাজগণই রাজত্ব করেছেন, তাঁরা রাজসভায় এবং দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই ফারশী ভাষা ব্যবহার করতেন, হিন্দু প্রজাদের সঙ্গে কথোপকথনের সুবিধার জন্য ‘উদু” নামক মিশ্র ভাষাও ব্যবহৃত হত। ঐ যুগের মুসলমান নারী-কবিরা অধিকাংশই ফারশী ভাষায় তাঁদের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে গেছেন। তাঁদের কথা ব’লবার পূর্বে তাদের পূর্ববর্তিনী সংস্কৃত ভাষার লেখিকাদের পরিচয় দেওয়া প্রয়োজন।

 ভারতবর্ষে বুদ্ধ এবং মহাবীরের সময়ে এবং তাদের অনতি-