পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

দশম শতাব্দীর পূর্বে যে কোনো সময়ে তিনি জন্মেছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে জন্মতিথি তাঁর যে কোনো তিথি নক্ষত্রেই হোক্; বৈদর্ভী রীতির রচনায় তাঁকে মহাকবি কালিদাসের সঙ্গে সমান আসন দিতে এবং সরস্বতীর অবতার ব’লে ঘোষণা করতে সেকালের আলঙ্কারিকরা দ্বিধা করেননি। তাঁর লেখা কোনো সুভাষিত সংগ্রহে পাওয়া যায় না, তবু লোকমুখে কয়েকটি কবিতা আজও তাঁর নামে চ’লে আসছে। উদাহরণস্বরূপ একটি উদ্ধৃত করছি:

“একোহভূল্ললিনাৎ পরস্তু পুলিনাৎ বল্মীকতশ্চাপরঃ।
তে সর্বে কবয় স্ত্রিলোকগুরবস্তেভ্যো নমস্কুর্মহে॥
অর্ব্বাঞ্চো যদি গদ্যপদ্যরচনৈশ্চেতশ্চমৎকুর্বতে।
তেষাং মূর্ধ্নি দদামি ধামচরণম্ কর্ণাট-রাজ-প্রিয়া॥”

 অষ্টম-নবম শতাব্দীর পূর্বজাতা কবিদের মধ্যে ‘বিকট-নিতম্বা’ নাম্নী এক কবি বহু বিভিন্ন বিষয়ে কবিতা লিখে গেছেন, প্রকৃতি বর্ণনা থেকে অশ্লীল আদিরসের কবিতা পর্যন্ত তিনি বাদ দেননি। তাঁর রুচিজ্ঞানের বা যাঁরা তাঁর নাম রেখেছিলেন তাঁদের রুচিজ্ঞানের প্রশংসা করা যায় না, তবু তাঁর পাণ্ডিত্যের প্রশংসা না ক’রে উপায় নেই! তাঁর লেখার মধ্যে তাঁর স্বামীর মূর্খতাজ্ঞাপক নিম্নলিখিত শ্লোকটি বিখ্যাত:

“কালে মাষং শস্যে মাসং বদতি শকাসং যশ্চ সকাশম্।
উষ্ট্রে লুম্পতি ষং বা রং বা, তস্মৈ দত্তা বিকট-নিতম্বা॥”

 অর্থাৎ বিদুষী বিকট-নিতম্বা এমন লোকের হাতে পড়েছেন, যিনি ‘মাস’কে ‘মাষ’, ‘মাষকলাই’কে ‘মাস’, ‘সকাশ’কে ‘শকাস’ বলেন, যিনি উষ্ট্র বলতে কখনও উষ্ট, কখনও উট্র বলেন। তাঁর হাতে