পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্য-চিন্তা

অক্ষয় পরমানন্দের অধিকারিণী ছিলেন, অপর দিকে হৃদয়নিঃসৃত স্নেহামৃতে সকল জীবকুল অভিষিক্ত করিতেন। তিনি ব্রহ্মযোগে অবস্থিত থাকিয়াও সেবাধর্ম্মের নির্ম্মল বারি সমভাবে জাতিবর্ণ নির্ব্বিশেষে সর্ব্বত্র বিতরণে রত ছিলেন। সেইহেতু তিনি সময় সময় আপন পুণ্যাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া নানা স্থানে গমন করিতেন।

 গৌরবের মণিমুকুটে বিমণ্ডিত হইয়া রাজর্ষি জনক স্বীয় রাজসভাতে নিয়ত নানা দেশীয় জ্ঞানী, যোগী, ভক্তে পরিবৃত থাকিতেন। নানা দিক্ প্রবাহিনী স্রোতস্বিনীর নির্ম্মল প্রবাহের ন্যায় বিবিধ ধর্ম্মতত্ত্বের তর্ক বিতর্ক এবং আলোচনার স্রোত সেই সুরম্য সভাতে উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিত। সেই স্থানে বিদুষী ধর্ম্মশীলা ললনা-রত্নের আবির্ভাবেরও অপ্রতুলতা ছিল না। যোগতত্ত্ব এবং সাধনতত্ত্ব সম্বন্ধে রাজর্ষি তাঁহাদের নিকটও অনেক শিক্ষা লাভ করিতেন।

 একদিন রাজর্ষি সভাস্থলে পণ্ডিতমণ্ডলী এবং মহর্ষিগণ সহ সৎপ্রসঙ্গে প্রবৃত্ত রহিয়াছেন এমন সময় ব্রহ্মবাদিনী সুলভা সেই স্থানে প্রবেশ করিলেন, তাঁহার অপরূপ রূপ-আভা ভক্তি ও জ্ঞানালোকে মিশ্রিত হইয়া রাজসভাকে কি এক অপূর্ব্ব শ্রী সম্পন্ন করিয়া তুলিল।