পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতে নারীর উন্নতি

সভাস্থিত সকলে শ্রদ্ধাভরে ক্ষণকাল নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন, কিন্তু কেহ বিস্মিত হইলেন না। কারণ প্রকাশ্য রাজসভাতে বিদুষী কুলমহিলার সমাগম সেই মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশের দিনে কাহারও বিস্ময়ের বিষয় ছিল না। নারী মাতৃ-রূপিণী, কল্যাণ-রূপিণী; তাঁহার সমাগম, সকল স্থানেই ভক্তি শ্রদ্ধা এবং পুণ্য-প্রবাহ বৃদ্ধির কারণ। সেই পুণ্যশীল ভারতসস্তানগণ কল্যাণময়ী নারীর আবির্ভাবে কেনই না আনন্দ লাভ করিবেন?

 রাজা বিশেষ সম্মানপূর্ব্বক তাঁহার অভ্যর্থনা করিয়া আসন প্রদান করিলেন। সুলভা সভাস্থিত মহর্ষিগণ এবং মহারাজ কর্ত্তিক সম্বর্দ্ধিত ও প্রশংসিত হইয়া যেন প্রভাত অরুণ-রশ্মি বিকিরণপূর্ব্বক উপবেশন করিলেন।

 মুনিগণ রাজর্ষিকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “মহারাজ! যেখানে মহা বিস্তৃত অরণ্যানী মহীরুহ সমূহে শোভিত হইয়া রহিয়াছে— ভীমদর্শন তুঙ্গ গিরিশৃঙ্গ সকল মেঘমালা ভেদ করিয়া শোভা পাইতেছে, সেই দেবাত্মা হিমাদ্রির নিভৃত কন্দরে যতিগণ আদিদেবের ধ্যানে নিমগ্ন। সেই পুণ্যময় স্থানে এই শুভদর্শনা কল্যাণী বহুকাল অবস্থিতি করিয়া আপনার আত্মাকে পরমাত্মায় সংযোগ পূর্ব্বক তপস্যায় রত ছিলেন।”