পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জ্ঞান
১১১

স্বরূপ ভগবানের যে অনন্ত জ্ঞানের কণিকামাত্র আশ্রয় করিয়া জীবগণ তাঁহার দিকে অগ্রসর হয় আমরা তাহার সম্বন্ধেই দুই একটি কথা বলিব।

 এই বিবিধ লীলাপূর্ণ কার্য্য কারণ সূত্রে নিয়ন্ত্রিত সৃষ্টি বৈচিত্র্যে দৃষ্টিপাত পূর্ব্বক অনুধ্যান করিলেই আমরা সর্ব্বপ্রথমে কি অনুভব করি? ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি, স্থিতি, পালনতত্ত্ব—প্রাকৃতিক অলঙ্ঘনীয় বিধান পরম্পরা নীরব ধ্বনিতে কি জ্ঞানের মহিমা ঘোষণা করিতেছে না? বিশ্বপ্রকৃতির বিরাট কাব্যগ্রন্থ হইতে প্রতি ছত্রে ছত্রে প্রতি অক্ষরে অক্ষরে অনন্ত জ্ঞানের অমৃত নিস্যন্দিনী ভাষা আমাদের প্রাণের কাছে কি এক বিহ্বলতা আনিয়া দেয় না? এই সমস্ত দর্শন করিয়া স্বভাবতঃই জ্ঞানের স্বরূপ কি এই প্রশ্ন মানব প্রাণে সমুদিত হইয়া থাকে। ঘেরণ্ড সংহিতায় আছে,—

 “যে প্রকার মায়ার সমান বন্ধন নাই, এবং জ্ঞানের তুল্য বন্ধু নাই, এবং অহঙ্কারের সমান শত্রু নাই, সেই প্রকার যোগের তুল্য বল আর দৃষ্টি হয় না।”

 জ্ঞান কি? এসংসারে সর্ব্বদাই আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়, নানা শাস্ত্রে অভিজ্ঞ, বিবিধ ভাষায় কৃতবিদ্য, বহু গ্রন্থ অধ্যয়নকারী ব্যক্তিগণও বিষয়ক্ষেত্রে নানাপ্রকার