পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্য-চিন্তা

 অতঃপর রাজর্ষি জনক সুলভার সহিত গভীর ধর্ম্মালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন।

 সুলভার মুখনিঃসৃত কয়েকটি অমৃতময় বাক্য ভারতের অমূল্য রত্ন মহাভারত হইতে নিম্নে উদ্ধৃত করা গেল।

 সুলভা কহিলেন—“আমি মোক্ষতত্ত্ব অবলম্বন পূর্ব্বক পরব্রহ্মে চিত্ত সমাধান করিয়া কাল যাপন করিতেছি। বৈরাগ্যই মোক্ষলাভের উৎকৃষ্ট উপায়। বৈরাগ্য জ্ঞান হইতে সমুৎপন্ন হয়। জ্ঞান দ্বারা যোগাভ্যাস ও যোগাভ্যাস দ্বারা আত্মজ্ঞানের উৎপত্তি হইয়া থাকে। মনুষ্য আত্মজ্ঞান প্রভাবেই সুখদুঃখাদি পরিত্যাগ ও মৃত্যুকে অতিক্রমপূর্ব্বক পরমপদ প্রাপ্ত হইতে পারে। আমি সেই আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া মোহ হইতে বিমুক্ত ও নিঃসঙ্গ এবং সুখদুঃখাদি পরিবর্জ্জিত হইয়াছি।”

 সেই সময় সুলভার ন্যায় শত শত মহিলা জ্ঞান ধর্ম্মে ভারতভূমি অলঙ্কত করিয়াছিলেন।

 হায়! পুণ্যময় ভারতে আজ নারীশক্তির কি ঘোরতর অবনতি সাধিত হইয়াছে? ইহার কারণ কি? কোন্ জন্মান্তরের নিদারুণ অভিশাপ নারীর মস্তকে বর্ষিত হইয়া তাহাকে জ্ঞানের উচ্চতর শিখর হইতে ধীরে ধীরে