পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্য-চিন্তা

কি সামাজিক, যে দিক দিয়াই কেন দেখি না বাধা পাইলে মানবাত্মার কোন প্রকারই বিকাশ লাভ হয় না। প্রাকৃতিক জগতে দেখিতে পাই, একটী বৃক্ষ যখন বীজ হইতে অঙ্কুরিত হইতে আরম্ভ করে, তখন যদি অঙ্কুরোদগমের স্থানটি প্রস্তর দ্বারা আচ্ছাদিত করিয়া রাখ, দেখিবে ঐ স্থানেই তাহার উন্নতি বন্ধ হইয়া গেল, প্রকৃতির স্বাভাবিক বর্দ্ধনশীলতার কার্য্য রোধ হইল। তারপর কি? তারপর মৃত্যু। প্রকৃতির উন্মুক্ত আলোক ও জলবায়ুতে ছাড়িয়া না দিলে তাহার মৃত্যু নিশ্চয়। যে একদিন প্রকৃতির প্রসাদে মহা মহীরুহে পরিচিত হইত, বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হইয়া শৈশবেই তাহার বিনাশ সাধিত হইল। প্রাকৃতিক জগতে যাহা জীব জগতেও ঠিক সেই নিয়ম। আধ্যাত্মিক জগতেও তাহার ব্যতিক্রম দেখিতে পাই না। শৈশব হইতেই যাহাকে পিঞ্জরাবদ্ধ পাথীর ন্যায় অবস্থিতি করিতে হয়, তাহার মানসিক শক্তির সম্যক উন্মেষ কেমন করিয়া সাধিত হইবে! ভারতে মুসলমান রাজত্বের আবির্ভাব হইতেই নারীকে বিশেষভাবে অবরুদ্ধ করিয়া রাখার আবশ্যকতা সমাজ=নেতৃগণের হৃদয়ে প্রবলরূপে অনুভূত হইয়াছিল। স্বেচ্ছাচারপরতন্ত্রতার যুগে নারীজাতির