অবরোধ ভিন্ন তাহাদের মানসম্ভ্রম অব্যাহত রাখার উপায়ান্তর ছিল না। এখানেই নারীর উন্নতির স্রোত রোধ হইতে আরম্ভ করিল। সুবর্ণ যুগে কি অবরোধ প্রথা বর্ত্তমান ছিল না? রামায়ণ প্রভৃতি গ্রন্থে নারীজাতির কথা বর্ণিত আছে। কিন্তু আবশ্যক মত নারীগণ নির্ন্মুক্ত স্বাধীনতা ভোগ করিতেন। যাঁহারা চিরকৌমার্য্য ব্রত গ্রহণ পূর্ব্বক তপস্যায় প্রবৃত্ত হইতেন সমাজে তাঁহাদের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। সেই সময়ে ভারতে বেদবতী প্রভৃতি জগৎপূজ্যা চির-কুমারী নারীর অভাব ছিল না। সাবিত্রী, রূক্মিণী, দময়ন্তী প্রভৃতি প্রাতঃস্মরণীয়া রমণীগণ যে স্বয়ংই স্বীয় স্বীয় পতি নির্ব্বাচন করিয়াছিলেন তাহা কাহারও অবিদিত নাই। এই সমস্ত ঘটনা কি পূর্ব্বকালে নারীজাতির স্বাধীনতার পরিচায়ক নহে? বলিতে গেলে স্ত্রীস্বাধীনতাই নারীর উন্নতির প্রধান সহায়।
তৃতীয়তঃ—শ্রদ্ধা। ভারতবর্ষে নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধার অভাব নারীজাতির অবনতির একটী প্রধান কারণ। আর্য্যজাতি নারীকে কেমন শ্রদ্ধা করিতেন এবং সম্মানের চক্ষে দর্শন করিতেন তাহা অনেকেই অবগত আছেন। এবিষয়ে ইংলণ্ড প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশসমূহ আদর্শ