পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমাজ-ব্যাধি ও তাহার প্রতিকার
১৩

নানাপ্রকার শিল্পকার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া ধীরে ধীরে সভ্যতার সোপানে আরোহণ করিতেছিলেন।

 মনুষ্যের হৃদয় সভ্যতার নির্ম্মল আলোকে যতই দীপ্ত হইতে আরম্ভ করে, সেই কিরণ-সম্পাতে সমাজগৃহের প্রতি কক্ষ হইতে ধীরে ধীরে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের অন্ধকার অপসারিত হয় এবং তাহার প্রত্যেক স্থান উন্নত এবং মার্জ্জিত হইয়া থাকে। সভ্যতার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃত মনুষ্যত্বের বিকাশ অবশ্যম্ভাবী।

 জনসমাজের অবিরাম নিমেষ উন্মেষের মধ্যে যুগে যুগে কত প্রলয় বিপ্লব উপস্থিত হইয়া সমাজদেহ সজোরে আঘাত করিয়াছে; অপ্রতিহত কালস্রোতের নিয়ত খাত প্রতিঘাতে অনন্ত বিশ্ব-প্রকৃতির লীলা-নিকেতনে মানবসমাজের বন্ধন সূত্রগুলি কখন কখন কিয়ৎপরিমাণে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হইয়াও আবার সম্মিলিত হইয়াছে; বীণা যন্ত্রের তানু লয়ের ন্যায় ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ও ভিন্ন ভিন্ন কার্য্যের সমবেত সুর একটি আরাব অপূর্ব্ব রাগে ধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে।

 যে নীতি-সূত্রদ্বারা সমাজ গঠিত এবং রক্ষিত সেই সূত্রসমূহের মূল কোথায়? তাহাদের কেন্দ্র কি? কোন্ মধ্য বিন্দু হইতে উৎপন্ন হইয়া শত শত নীতি ও নিয়ম-