পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
সাহিত্য-চিন্তা

সূত্র মানবদেহের শিরা ধমনীর ন্যায় সমাজদেহের সর্ব্বত্র বাপ্ত ও অনুপ্রবিষ্ট হইয়া রহিয়াছে? কে ইহাদিগকে জীবনী শক্তি প্রদান করিয়া থাকে? ধর্ম্মই সমস্ত নীতিসূত্রের মধ্যবিন্দু। যুগ যুগান্তরের সহস্র বাধা বিপ্লবের মধ্যে ধর্ম্মই সমজাকে জীবিত রাখিতে সমর্থ হইয়াছে।

 যাহা চিরন্তন সত্য তাহা চিরদিনই স্বতঃসিদ্ধ; যাহা নিজ আলোকে সমুজ্জ্বল, সার্ব্বভৌমিক এবং নিত্য কল্যাণময়, তাহাই ধর্ম্ম। এই ধর্ম্ম সমাজ-হর্ম্ম্যের স্তরে স্তরে নানা আকারে ও নানা পরিচ্ছদে প্রকাশিত হইয়া থাকিলেও তাহার মূল সত্যগুলি নিতান্তই সরল এবং স্বাভাবিক। এখানে দেশ কালের কোন প্রভেদ নাই— জাতিগত বর্ণগত কোন বৈষম্য নাই। ইহার প্রকৃত স্বরূপ বাহিরে নহে—ভিতরে।

 যে ধর্ম্ম শুধু জাতিগত তাহা প্রকৃত ধর্ম্মের বহিরাবরণ মাত্র। যেমন হিন্দু ধর্ম্ম, বৌদ্ধ ধর্ম্ম, খৃষ্ট ধর্ম্ম ইত্যাদি। এই বহিরাররণ লইয়াই পৃথিবীতে পৃথক পৃথক সমাজ গঠিত হইয়াছে এবং ভিন্ন ভিন্ন রূপে সকল জাতিই আপনাদিগকে সাম্প্রদায়িকতার পাষাণময় প্রাচীরে ঘেরিয়া লইয়াছে ও দুর্ণিবার কলহের সৃষ্টি করিয়াছে!