পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমাজ-ব্যাধি ও তাহার প্রতিকার
১৫

 যেমন শারীরিক মঙ্গলকর নিয়মসমূহ লঙ্ঘনের ফলে জীবের পঞ্চভৌতিক দেহ নানা প্রকার ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তেমনই ধর্ম্মের চির শুভকর নিয়ম ও নীতি-বিধান লঙ্ঘনের ফলে মানসিক অসংখ্য পাপ-ব্যাধির উৎপত্তি হইয়া থাকে। জনশ্রেণীর মানসিক ব্যাধিই সংক্রামক ভীষণ রোগের ন্যায় সমাজ-দেহের প্রতি শিরা ধমনীতে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে এবং উহাকে শীঘ্রই বিকৃত ও বিনাশ করিতে উদ্যত হয়।

 যে সকল গুরুতর ব্যাধি বর্ত্তমান হিন্দু, সমাজ-দেহে প্রবিষ্ট হইয়া তাহাকে অবসন্ন ও দুর্ব্বল করিতেছে, তাহার মধ্যে জাতি-বিদ্বেষই প্রধান। ইহা সমাজের প্রতি অঙ্গে প্রবেশ করিয়া তাহাকে একেবারে জীর্ণশীর্ণ করিয়াদিতেছে।

 পৃথিবীর যে সকল জাতি সভ্যতা এবং জ্ঞানের আলোকে সকলের বরণীয় তাঁহাদের জাতীয় ইতিবৃত্ত পাঠ করিলে জানা যাইবে যে প্রথমেই তাঁহারা সংকীর্ণ তার বন্ধন ছিন্ন করিয়া ভেদ-বিদ্বেষের প্রাচীর সকল ভাঙ্গিয়া দিয়াছেন; আপনাদের অশ্রান্তগতি অব্যাহত রাখিবার জন্য সকল বাধাই দূরে সরাইয়া রাখিয়াছেন: বিশ্বের নির্মুক্ত জল, বায়ু, আলোক লাভ করিবার জন্য গৃহের সমস্ত গবাক্ষগুলি উন্মুক্ত করিয়া দিয়াছেন।