পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সমাজ-ব্যাধি ও তাহার প্রতিকার
২৩

 সমাজের এইরূপ সহস্র দুর্গতির মধ্যে কেবল ভারতরমণীগণই দেশের ভরসাস্থল। রমণী যদি সর্ব্বপ্রকার কুসংস্কার ও জাত্যাভিমান দূর করিয়া নিজ শিশু সন্তানদিগকে অভেদ মন্ত্রে দীক্ষিত করেন, তবে নিশ্চয়ই জাতি বিদ্বেষের ভিত্তিমূল শিথিল হইয়া পড়িবে। শিশু মাতার নিকট যে শিক্ষা প্রাপ্ত হয় পৃথিবীর কোন শিক্ষাই তাহার তুল্য নহে।

 সামাজিক কল্যাণের ভিত্তিমূল দৃঢ়তর করিতে হইলে নারীকে সর্ব্বাগ্রে সুশিক্ষিতা করা চাই— জ্ঞান, ভক্তি, কর্ম্মে ভূষিতা করা চাই। যেখানে নারীশক্তি নিদ্রিত, সেখানে সমাজ-ব্যাধি শয়তানের মত নানা আকারে আপনার রূপ প্রকাশ করিয়া থাকে এবং তথাকার জাতীয় উন্নতি বালুকার ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত প্রাসাদের ন্যায় ভূমিসাৎ হয়।

 সুশিক্ষিতা ধার্ম্মিকা নারীদ্বারা দেশের কত মঙ্গল সাধিত হইয়াছে, পবিত্রপ্রাণা নারীসকল সমাজের সর্ব্বপ্রকার দুর্ব্বলতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিরূপ ঘোরতর সংগ্রাম করিয়া স্বদেশে কল্যাণের প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন, সুসভ্য জগতে তাহার দৃষ্টান্তের অভাব নাই। সমাজের যে স্তরে গুহাস্থিত চৌরের ন্যায় অন্ধকার লুক্কায়িত