পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আলোক

 আলোক! তুমি নিখিলের আনন্দ, অনন্তলীলাপূর্ণ, বৈচিত্রপূর্ণ, জীবলোকের পরমসম্পদ—বিশ্বজগতের প্রাণ। এই মর্ত্যলোকে কে তোমায় আনিল বল দেখি? নিয়তিসূত্রে ভ্রাম্যমান, বিচিত্র কার্য্যকারণ-শৃঙ্খলাবদ্ধ বিরাট বিশ্বযন্ত্রে আনন্দরূপে কে তোমায় ঢালিয়া দিল, বল দেখি? যখন তুমি ভুবনমোহিনী ঊষার রত্নকিরীট বিভূষিত করিয়া অনন্ত সীমাশূন্য অতলস্পর্শ অন্ধকার পারাবার ভেদ করিয়া ধরাতলে অবতীর্ণ হও, তোমার স্বর্ণ-কিরণছটায় বসুন্ধরা রঞ্জিত হইয়া উঠে। শুভ্র অঞ্চলে কাঞ্চন ঢালিয়া দিয়া ঊষাদেবী যখন জীবের দ্বারে সমাগত হন, তাঁহার মধুর হাস্যরাশি চরাচর-বক্ষে উছলিয়া পড়ে সেই গুভমুহূর্ত্তে তোমার অমৃতস্পর্শে নিতান্ত নিরাশ প্রাণেও কি আশার সঞ্চার হয় না? নিতান্ত দুঃখতপ্তহৃদয়েও কি আনন্দের একটি রেখা অঙ্কিত হব না? তোমার নিকট ধনী দীন পাপী সাধুর ভেদ নাই। যে ব্যক্তি জগৎকর্তৃক পরিত্যক্ত— ঘুণিত, পদদলিত, তোমার স্নেহবাহু তাহার জন্যও প্রসারিত। এমন সাম্যনীতি মানবের কোথায়?

 দ্যুলোক ও ভুলোকে বরণীয়, আলোক-শিশুর প্রথম