পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
সাহিত্য-চিন্তা

সেই ইথর-তরঙ্গের শক্তিরই অংশ মাত্র। ইথর-তরঙ্গের এই মঙ্গলময় খেলা আলোকরূপে লোকলোচনের গোচরীভূত হইয়া থাকে। পরমাণুপুঞ্জের স্পন্দন হেতুই যে আলোকের সৃষ্টি তাহা বিজ্ঞান অনেক দিন হইল প্রমাণ করিয়াছে। পরমাণুপুঞ্জের এই স্পন্দন, ঘর্ষণ, ঘাত প্রতিঘাত, বিরাট বিশ্বের সৃষ্টি ও রক্ষণ ব্যাপারে কি প্রকার কার্যকারিতা প্রদর্শন করিতেছে, যুগের পর যুগ, দিনের পর দিন ভৌতিকজগতে কি প্রকার পরিবর্ত্তন সাধিত করিতেছে তাহা নির্দ্ধারণ করিতে জ্যোতিষিগণ সর্ব্বদাই আপনাদের অসামান্য ধীশক্তি এবং সূক্ষ্মদর্শিতার পরিচয় প্রদান করিতেছেন। নিউটন প্রভৃতি পণ্ডিতগণ আলোকতত্ত্ব সম্বন্ধে অনেকগুলি সত্য জনসমাজে প্রচার করিয়া বাস্তবিকই জগতের অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়াছেন। সূক্ষ্ম হইতেই স্থুলের সৃষ্টি। যাহা চক্ষুর অগোচর, দূরবীক্ষণ যন্ত্রেরও অগোচর সেই সূক্ষ্মতত্ত্বের গবেষণা বিশেষ দূরূহ ও আয়াসসাধ্য সন্দেহ নাই। ইথর-তরঙ্গের শক্তি, জন ষ্টুয়ার্ট মিল প্রভৃতি মনীষিগণ অন্ধশক্তির কার্য্য বলিয়া প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু বাস্তবিকই কি তাই? নানা ভাবপূর্ণ, লীলাপূর্ণ, সৌন্দর্যপূর্ণ, সুনিয়ম ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বিরাট বিশ্বরাজ্যের সৃষ্টি, স্থিতি,