পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আলোক
২৯

প্রলয়কার্য্য শুধু কি অন্ধশক্তির ক্রিয়া? ইহাতে কি কোন চৈতন্যময়, মঙ্গলময় শক্তি কার্য্য করিতেছে না? সত্য সত্যই সাধকগণ প্রতি পরমাণুতে এক মহান্ চৈতন্যময় জ্ঞানময় শক্তি দর্শন করিয়া কৃতার্থ হন।

 মহাকায় সূর্য্যমণ্ডলের ভীষণ অগ্নিময়দেহ হইতে উৎপন্ন হইয়া আলোক গ্রহ, উপগ্রহ সকলের জবনীশক্তি বিধান করিতেছে এবং নানা প্রকারে তাহাদের অশেষ কল্যাণসাধন করিতেছে। মার্তণ্ডমণ্ডল হইতে আলোকমালা প্রতি সেকেণ্ডে একলক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল ধাবিত হইয়া ৮ মিনিট ১৮ সেকেণ্ড সময়ে ধরণীরাজ্যে পঁহুছিয়া থাকে।

 আপনার ভীষণ-দর্শন দেহস্থিত প্রচণ্ড প্রলয়রূপী অগ্নিরাশিতে অহর্নিশি দগ্ধীভূত হইয়া অংশুমালী সূর্য্য অবিরত সৌরজগতে আলোক বিকীরণ করিতেছেন। জ্যোতিষিগণ সেই প্রলয়রূপী সূর্য্যকিরণের উত্তাপ সম্বন্ধে গণনা করিয়া দেখিয়াছেন যে সূর্য্যের তাপের পরিমাণ ছয় হাজার (৬০০০) ডিগ্রিরও অধিক! কেহ কেহ বা ঠিক ছয় হাজার ডিগ্রি বলিয়াই নির্দ্ধারণ করিয়াছেন। ভূমণ্ডল হইতে লক্ষ লক্ষ গুণ বৃহত্তর, প্রকাণ্ডকায়, মার্তণ্ড দেব অনেকগুলি গ্রহ উপগ্রহে পরিবৃত হইয়া অবিশ্রান্ত