পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আলোক
৩১

 পৃথিবীর নানাস্থানের বৈজ্ঞানিক মনীষিগণ সূর্য্যকিরণ বিশ্লেষণ কার্য্যে নিযুক্ত রহিয়াছেন। রশ্মি বিশ্লেষণ যন্ত্রের সাহায্যে তাঁহারা অতি সহজেই বর্ণ সকলের পৃথক পৃথক কার্য্যকারিতা দর্শন করিতে পারেন। এই আলোক বিশ্লেষণযন্ত্র মানব-প্রতিভার এক অভাবনীয় কীর্ত্তি। কি অতি দুরস্থিত নভোবিহারী নক্ষত্রপুঞ্জ, কি ছায়াপথবর্ত্তী নক্ষত্র, কি ততোধিক দূরবর্ত্তী ধূমপুঞ্জব নীহারিকা, কি সূর্য্যমণ্ডল এবং অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ সকল, জ্যোতিষিগণ রশ্মি-বিশ্লেষণ যন্ত্রের সাহায্যে মর্ত্ত্যলোকে বাস করিয়াও সমস্তই সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ও সুস্পষ্টভাবে অবগত হইতে সমর্থ হইয়াছেন। তাঁহারা বর্ণ-পরীক্ষায় যন্ত্রবলে জ্যোতিষ্করাজ্যের নিত্য নূতন নূতন তত্ত্ব আবিষ্কার করিতেছেন।

 ত্রিকোণ বিশিষ্ট কাচখণ্ডের সহায়তায় আমরাও মার্তণ্ড-কিরণের বর্ণসমূহ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র অবলোকন করিতে পারি।

 সুন্দর নীলাম্বরপ্রান্তে দিগন্ত প্রসারিত রামধনুর উদয় কি মনোরম! তাহাতে পর্য্যায়ক্রমে সপ্তবিধ বর্ণের সমাবেশ কেমন নয়নের তৃপ্তিকর! প্রকৃতিদেবী যেন দিগঙ্গনাকে বিচিত্র বর্ণের রত্নভূষণে বিভূষিতা