পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
সাহিত্য-চিন্তা

করিয়া দেন। বৃষ্টিবিন্দুসমূহে বিপরীতবর্ত্তী সূর্য্যরশ্মি প্রতিবিম্বিত হওয়াতেই রামধনুর উৎপত্তি, ইহা সকলেই অবগত আছেন। কাচখণ্ডের ন্যায় জলবিন্দুরও আলোক বিভাগ করিবার শক্তি আছে; তাহাতেই ঐ সকল বর্ণ স্বতন্ত্ররূপে লোক-নয়নের বিষয়ীভূত হইয়া থাকে। ধরণীরাজ্যে রবিকিরণ-সম্ভূত এই সপ্তবিধ মূল বর্ণের কি সুন্দর বিশ্লেষণ! বর্ণসমূহের নানারূপ রাসায়নিক সংযোগে প্রকৃতিবক্ষে অশেষপ্রকার নয়নবিনোদন বর্ণের সমুদ্ভব হইয়া থাকে। এই অতি সুন্দর বর্ণসন্নিবেশ নিবন্ধন প্রাকৃতিক চিত্রপটের যে দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়, হৃদয় একেবারে মুগ্ধ হইয়া যায়। নানা বর্ণের জলদ-বিমণ্ডিত গগনমণ্ডল, কি শ্যামল শাখা-পত্র-পল্লবে পরিশোভিত বৃক্ষলতা গুল্ম বল্লরী— কি স্তবকে স্তবকে শ্বেত, পীত, নীল, লোহিত এবং আরও নানা বর্ণের পুষ্পরাশি—যেদিকে দৃষ্টিপাত করা যায়, কি অনুভব করি। যেন শিল্পীর মঙ্গলহস্ত প্রত্যক্ষভাবে এই বর্ণসন্নিবেশ কার্য্যে নিযুক্ত রহিয়াছে। ধন্য সেই অচিন্ত্যশক্তি দেবদেবের রচনা কৌশল ও শিল্পনৈপুণ্য, সর্ব্বত্র তিনি নানা বর্ণ কেমন আশ্চর্য্যরূপে বিচিত্র করিয়া রাখিয়াছেন—প্রকৃতির ভাণ্ডার কি অপরূপ শোভা