পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আলোক
৩৩

ও মাধুর্য্যের আধার করিয়া দিয়াছেন তাহা চিন্তা করিতেও হৃদয় স্তব্ধ হইয়া যায়। আলোকের বর্ণ সকল নৈসর্গিক নিয়মে কেমন বিবিধ প্রকারে নানা রঙ্গে প্রকৃতিরাজ্যে প্রতিফলিত হইয়া থাকে, তাহা ধারণা করা ক্ষুদ্র জীবের সাধ্য নয়।

 নীল, পীত, হরিত প্রভৃতি যতপ্রকার বর্ণের অপূর্ব্ব সমাবেশ অবলোকন করা যায়, তন্মধ্যে পরম মনোরম হরিৎই সর্ব্বপ্রধান; ভূমণ্ডলের সর্ব্বত্র হরিৎ বর্ণেরই প্রাধান্য দর্শন করা যায়। পরীক্ষা দ্বারা অবগত হওয়া গিয়াছে যে হরিৎবর্ণ স্বাস্থ্যের পক্ষে মহা উপকারী এবং হরিৎ ও নীলবর্ণ দৃষ্টিশক্তি রক্ষার পক্ষে বিশেষ উপযোগী। জীবের কল্যাণের জন্যই পরম মঙ্গলময় পরমেশ্বর সৃষ্ট পদার্থে হরিৎ ও নীল বর্ণের আধিক্য প্রদান করিয়াছেন, সন্দেহ নাই।

 ডাক্তার ফিন্সেন্ প্রভৃতি চিকিৎসাবিজ্ঞানবিদ্ পণ্ডিতগণ আলোকচিকিৎসার বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করিয়াছেন। এই অসাধারণ মনীষাসম্পন্ন ব্যক্তিগণ রশ্মিবিশ্লেষণ যন্ত্রের সাহায্যে সূর্য্য-কিরণের বর্ণসমূহ স্বতন্ত্রীভূত করিয়া প্রতীচ্য জগতে চিকিৎসাশাস্ত্রে যুগান্তর আনয়ন করিয়াছেন। অনেক দুশ্চিকিৎস্য কঠিন ব্যাধি তাঁহারা