পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
সাহিত্য-চিন্তা

কি একেবারে লোপ হইয়া যাইবে? অনেকে এখনই ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছেন। এই চিন্তায় কিন্তু গ্রহরাজ সূর্য্য আলোকদানে কখনই কৃপন নহেন। বিজ্ঞান যেপ্রকার অপ্রতিহত প্রভাবে পৃথিবীতে দিন দিন উন্নতি লাভ করিতেছে, তাহাতে কয়লার অভাব সূর্য্যালোকেই পূর্ণ হইবে, সন্দেহ নাই।

 বৃক্ষলতা, গুল্ম ও শস্য প্রভৃতির জীবনী শক্তি বিধান সম্বন্ধে সূর্যালোকের কার্য্য প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করা যায়। যে শস্য দ্বারা বিশ্বব্যাপী জীবগণের জীবনযাত্রা নির্ব্বাহ হইতেছে, যে শস্যপুঞ্জ সংসারে সর্ব্বপ্রকার উন্নতি ও সুখ সমৃদ্ধির মূলীভূত, সূর্য্যালোকই তাহার প্রাণস্বরূপ।

 পানীয় জলের উপর সূর্যালোকের ক্রিয়া আশ্চর্য্যজনক। সূর্য্যালোক নানারূপ জীবাণু ধ্বংস করিয়া জল বিশুদ্ধ করে। বিবিধ প্রকার বর্ণের কাচপাত্রে পানীয় জল রাখিয়া সূর্যকিরণে উত্তপ্ত করিলে বিভিন্ন শ্রেণীর রোগ আরাম হইয়া থাকে; ইহ। প্রত্যক্ষ সত্য। আর্দ্র স্থান শুষ্ক করিয়া ম্যালেরিয়াবিষ নষ্ট করিতে সূর্য্যালোকের শক্তি অসাধারণ।

 সূর্য্যকিরণ দ্বারা চন্দ্র আলোকিত হয়, তাহাতেই