পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষালয়

 অমরেন্দ্রনাথ অতি মনোযোগের সহিত প্রফুল্লকে পড়াইতে আরম্ভ করিলেন।

 অমরেন্দ্র যখন পড়াইতেন সেই বালিকাহৃদয়ে কি এক আনন্দ ধারা তাহার অজ্ঞাতসারে প্রবাহিত হইত। কোন্ দিক্ হইতে ইহা বহিয়া যাইত, সে তাহা নিজেই বুঝিতে সমর্থ হইত না।

 একদিন অমরেন্দ্র প্রফুল্লকে জ্যামিতির প্রতিজ্ঞা বুঝাইতেছেন। তিনি বলিতে লাগিলেন,—“প্রফুল্ল, এই একটা বৃত্ত; ইহার মধ্যবিন্দু হইতে কয়েকটি সরলরেখা টানিয়া লও। ইহারা পরস্পর সমান। ‘যে যে বস্তু কোন এক বস্তুর সমান, তাহারা পরস্পর সমান।’ এখন ভাল করিয়া বুঝাইতেছি।” এই বলিয়া তিনি প্রতিজ্ঞাটি ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিয়া কহিলেন—

 “শোন প্রফুল্ল! এই প্রকার মানবজীবনের সমস্ত কার্য্যের মধ্যবিন্দু ভক্তি। আমরা যতগুলি কার্য্য করিয়া যাই, সেই ভক্তিকে স্পর্শ করিয়া কার্য্য যে-দিকেই বিস্তৃত হইয়া পড়ুক না কেন, জ্যামিতির পূর্ব্বোক্ত সরলরেখার ন্যায় তাহাদের কখনও অসামঞ্জস্য হইবে না।