পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
সাহিত্য-চিন্তা

 প্রফুল্ল সকল কথা ভাল করিয়া না বুঝিলেও, যেটুকু বুঝিতেছে তাহাই তাহার হৃদয়ে তীরের মত বিদ্ধ হইতেছে। সে কহিল—

 “কেমন করিয়া ভক্তি লাভ হয় বুঝাইয়া বলুন।”

 অমরেন্দ্র,—“শিশুর যে মায়ের প্রতি অনুরাগ তাহা কেমন করিয়া হয়? উহা স্বভাব হইতেই জন্মে। প্রথম হইতেই সে ‘মা’ ‘মা’ বলিয়া কাঁদিতে শিখে। মায়ের কোলে যাইয়া সকল ব্যথা ভুলিয়া যাইতে হইবে, ইহা শিশুকে কে শিখাইয়া দেয়? বিশ্বজননী অনন্ত প্রেমের প্রস্রবণ। তাঁহার অর্চ্চনা করিলে ভক্তি বিকশিত হয়। যিনি হিন্দুর মন্দিরে আদ্যাশক্তি রূপে পূজিতা, সকল দেশে, সকল সম্প্রদায়ে তাঁহারই অর্চ্চনা হইতেছে। সেই প্রেমের অমৃত ধারার নিকট সকল দেশ, সকলজাতি, সকল বর্ণ, তুল্য। এখানে কি মধুর সম্মিলন? প্রথমে ভক্তিভাবে স্বদেশের কল্যাণকর কার্য্যে ব্রতী হওয়া চাই।”

 প্রফুল্ল,—“স্ত্রীলোকেরা কি দেশের কাজ করিতে পারে না?”

 অমরেন্দ্র.—“পূর্ব্বেই তো নারীশক্তি জাগ্রত হওয়ার আবশ্যক। ভক্তিতেই শক্তিলাভ হয়। নারীশক্তি