পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪০
সাহিত্য-চিন্তা

 অমরেন্দ্র—“সন্তানগণ বড় হইলে যে তাহার শিক্ষা আরম্ভ হয়, এমন নহে। শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন হইতে তাহার শিক্ষা আরম্ভ হয়। অনেকে মনে করেন -যে শিশুরা কিছুই বোঝে না। কিন্তু শিশুর ধারণাশক্তি অতিশয় প্রবল। সেই কোমল প্রাণে যেশিক্ষা প্রবিষ্ট হয়, তাহা একেবারে বদ্ধমূল হইয়া যায়। এজন্য মাতৃগণের কর্তব্যনিষ্ঠ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। নারীজাতির কর্তব্য যে কেবল ঘরকন্নায় আবদ্ধ থাকিবে, এমন হইতে পারে না। সমাজের প্রতি কর্তব্য, দেশের প্রতি কর্তব্য, এই প্রকার অনেক কর্ত্তব্য আছে। মাতা যদি সকলদিক্ দিয়া কর্ত্তব্য পরায়ণতা লাভ করেন, তাহা হইলে সন্তানগণ বাল্যকাল হইতে এমন কর্তব্যনিষ্ঠায় দীক্ষিত হইয়া উঠিবে যে, তাহারা জীবনের কোন সময়েই সেই কর্ত্তব্য পথ হইতে ভ্রষ্ট হইবে না। সংসর্গ, শিক্ষা ও মাতৃস্তন্য প্রকৃতিকে কিপ্রকার পরিবর্ত্তিত করে তাহার একটি দৃষ্টান্ত দিতেছি।

 “একবার এক বাঘিনী একটী নবজাত মনুষ্য-শিশু হরণ করিয়া লইয়া গিয়াছিল,”—

 নরেন কিঞ্চিৎ দূরে বসিয়া অঙ্ক কষিতেছিল। সে এই বাঘের গল্প শুনিয়া শ্লেট পেন্সিল ফেলিয়া অমরেন্দ্রের