পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সূর্য্য-মণ্ডল

 সুদূর নভোমণ্ডলে তেজোময় অগ্নিময় মূর্ত্তি! কি মহিমাপূর্ণ মাধুরী! যুগে যুগে এই ভূমণ্ডলে কত পরিবর্ত্তন উপস্থিত হইল—কত বিপ্লব এবং বিবর্ত্তনের ভিতর দিয়া সভ্যতা ও বিজ্ঞানের উজ্জ্বল আলোকে মানবসমাজ উন্নতির উচ্চতর সোপানে আরোহণ করিল কিন্তু ঐ অগ্নিময় মূর্ত্তি আকাশে একই ভাব সমুদিত। এমন অলৌকিক গাম্ভীর্য্যময়ী সুষমার নিকট কাহার হৃদয় না প্রীতিভরে নত হয়? এই মহিমাময়ী মূর্ত্তি দর্শন করিয়া একদিন আর্য্যঋষি হিমানিমণ্ডিত গিরিকন্দর এবং নির্ম্মলসলিলা তটিনী প্রতিধ্বনিত করিয়া মধুর গম্ভীর কণ্ঠে গাইয়া ছিলেন:—

হিরণ্ময়েন পাত্রেন সত্যস্যপিহিতং মুখম্।
তস্থং পূষণ্ণ পাবৃণু সত্যধর্ম্মায় দৃষ্টয়ে॥১৫॥
ঈশোপনিষৎ।

 “হে জগতের পোষক সূর্য্য! তোমার জ্যোতির্ম্ময় পাত্র দ্বারা সত্যের (অর্থাৎ সূর্যমণ্ডল স্থিত ব্রহ্মের) মুখ আচ্ছাদিত রহিয়াছে। সত্যধর্ম্মানুষ্টায়ীর দৃষ্টির জন্য তাহা আবরণশূন্য কর।”