পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
সাহিত্য-চিন্তা

 ভারতের সুবর্ণযুগে জগতের বরণীয় যে আর্য্যজাতি —ভারতমাতার সুসন্তানগণ, প্রকৃতির প্রতি বস্তুতে ব্রহ্মসত্তা অবলোকন করিতেন; জলে, স্থলে, আকাশে, বৃক্ষ, লতায়, অগ্নিশিখাতে ভূমা-মহেশ্বরের পরম জ্যোতি দর্শন করিয়া—সেই দেবদেবের অর্চ্চনা করিয়া কৃতার্থ হইতেন, তাঁহারা অশেষ শক্তির আধার সূর্য্যমগুলে সত্যস্বরূপ পরমাত্মার উজ্জ্বল সত্তা কেন না প্রত্যক্ষ করিবেন?

 বস্তুতঃ আনন্দদায়িনী ঊষার অঙ্কে নবোদিত রবির ভূবনমোহিনী ছবি কি সুন্দর! নীলিমাময় অনন্ত আকাশে শয়ান রক্তমূর্ত্তি দেবশিশুর মত তরুণ তপন যখন আলোক-রশ্মি বিকীর্ণ করিয়া হাসিতে থাকে তখনকার শোভা সন্দর্শন করিয়া কাহার, প্রাণ না নির্ম্মল আনন্দে,—পরিত্র ভগবদ্ভক্তিতে উছলিয়া ওঠে? প্রভাতের শুভ সমাগমে এক অজ্ঞাত, অভাবনীয় মঙ্গল আহ্বানধ্বনিতে নিতান্ত মোহসুপ্ত হৃদয়ও কি জাগরিত হয়. না!

 আবার যখন দেখিতে দেখিতে সেই সহস্রাংশু প্রচণ্ড মূর্ত্তিতে মধ্যাহ্ন গগনে উদিত হইয়া ধরাতলকে সত্তাপিত করিতে থাকে, মানবগণ নানা বৈচিত্রপূর্ণ, কোলাহলময়